নোয়াখালী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
তিনি বলেন, আমি দূরের মানুষ হয়েও মওদুদ সাহেবকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। তিনি ৫২ এর ভাষা সৈনিক ছিলেন। তিনি ভাষা সৈনিক তাই নয়। তিনি তৎকালীন সরকার বিরোধী আন্দোলনে জড়িত হওয়ার কারণে তাকে স্কুল থেকে মেট্রিক পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয় নাই। পরবর্তীতে তিনি পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলে নতুন করে ভর্তি হয়ে পরীক্ষা দিয়ে ছিলেন। একজন মানুষের জীবনে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা প্রবেশিকা পরীক্ষা। তিনি দেশের প্রেমে, ভাষার প্রেমে, সেই মায়া পর্যন্ত ত্যাগ করেছিলেন।
মইন খান বলেন, মওদুদ আহমেদ বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার ছিলেন। তার সম্পর্কে সারা রাত বলেও শেষ করা যাবেনা। তিনি চিরতরুণ ছিলেন সর্বক্ষেত্রে। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে থেকে, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী সময়, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়, তার পরবর্তী ৮০ দশকে, তৎপরবর্তী ৯০ দশকে এবং সর্বশেষ তার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের যারা নিয়ন্ত্রক ছিলেন, বাংলাদেশের নীতি নির্ধারণ যারা করেছেন, বাংলাদেশের ভাগ্য যারা নির্ধারণ করেছিলেন, তিনি কিন্ত সেখানে পুরো সময় একটি ভূমিকা পালন করেছেন দলমত নির্বিশেষে। এটা কিন্তু তার জীবনের বর্ণিল একটি সুযোগ।
এ সময় বক্তরা প্রয়াত এই নেতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন তুলে ধরে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য দেন। বক্তরা বলেন, আইনজীবী হিসেবে, রাজনীতিবিদ হিসেবে এবং সর্বোপরি একজন লেখক এবং গবেষক হিসেবে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। জীবিত থাকবেন তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছে, দেশের মানুষের মাঝে। আমাদের রাজনীতির ইতিহাসে, সংগ্রামে আন্দোলনের ইতিহাসে।
স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক, চট্রগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এরশাদ, জেলা বিএনপির সদস্য মো. গোলাম মোহিত ফয়সাল, কবিরহাট উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হুদা ফরহাদ, কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে দোয়ার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, মাওলানা কেয়ায়েত উল্যাহ। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।