নোয়াখালী নিখোঁজের ১২ দিন পর লাশ উদ্ধার
নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ০৭ অক্টোবর, ২০২৪ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নিখোঁজের ১২ দিন পর দীঘি থেকে নোয়াখালী কবির হাট ইয়াসিন আরাফাত নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। টিকটক বানানোর কথা বলে কিশোরকে মুখে কসটেপ পেঁচিয়ে হাত-পা বেঁধে দীঘির পানিতে পেলে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত ইয়াসিন আরাফাত (১৫) উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের উত্তমপুর লামছি গ্রামের ছোবু ভূঁঞা বাড়ির মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছেলে।
৭ অক্টোবর সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গের দিঘী থেকে নিহত কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুর দিকে তাকে মুখে কসটেপ পেঁচিয়ে, হাত-পা বেঁধে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গের দীঘিতে পেলে দিয়ে হত্যা করা হয়।
আটককৃত কিশোররা হলেন, উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের উত্তমপুর লামছি গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন জিহাদ (১৫) ও কবিরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অজি উল্যার ছেলে ইব্রাহীম খলিল আকিল (১৭)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আরাফাতকে কিছু ছেলের সাথে চলাফেরা করতে বারণ করে তার চাচাতো ভাই আমির হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরাফাত তাকে মারধর করে। পরে আমির আরফাতকে হত্যার কৌশল খুঁজতে থাকে। পরবর্তীতে আরেক বন্ধু আকিলের সাথে আমির পরামর্শ করে আরাফাতকে গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে টিকটিক বানানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বঙ্গের দিঘীর পাড়ে নিয়ে টিকটক বানানোর কথা বলে কৌশলে তার মুখে কসটেপ পেঁচিয়ে, হাত-পা বেঁধে দীঘির পানিতে পেলে দিয়ে হত্যা করে চলে যায়।
নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, নিখোঁজের তিনদিন পর এ ঘটনায় নিহত কিশোরের মা শাহানারা আক্তার কবিরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির আলোকে ঘটনার ১১দিন পর পুলিশ অভিযুক্ত দুই কিশোরদের আটক করে। একপর্যায়ে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন করে।