নোয়াখালী অপপ্রচার ও মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ের ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের ভূমি দস্যু ইব্রাহিম খলিল, জয়নাল আবদিন ও ইউসুফ গংদের অপপ্রচার ও মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার। ৪ জানুয়ারী (শনিবার) দুপুরে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে একটি স্থানীয় পত্রিকার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, আব্দুল হালিম ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রায় ২৬ টি মামলা দায়ের করে এবং মহামান্য হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন ৩৮৯/০৫ মামলাতে ও দোতরফা সূত্রে হেরে গিয়েও তারা ক্ষান্ত হননি। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রতারক ভূমি দস্যু ইব্রাহিম খলিল, জয়নাল আবদিন, ইউসুফ গংদের জাল-জালিয়াতির বিষয়ে বর্তমান প্রশাসনের নিটক সুবিচার কামনা করছি এবং তাদের কথিত মিথ্যা, বানোটয়াট, ডকুমেন্ট বিহীন আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং একই সাথে খলিল গংদের দাবীকৃত ভূমির মালিকানার বিষয়ে আমি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি যে আপনাদের মাধ্যমে কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে যদি আমার বোন জায়গা না পায় তাহলে মুচলেকা দিয়ে চলে যাব। আর তাদের যদি সৎ সাহস থাকে আপনাদের মাধ্যমে কাগজ পত্র নিয়ে বসুক। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমার বোন, আমার বাবা, আমার ভাই আমার আত্মীয় স্বজন সব সময় সমাজ, প্রশাসন, এলাকার গণ্যমান্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে সব সময় প্রধান্য দিয়ে থাকি।

তিনি বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর ২০২৪  তারিখে ইব্রাহিম খলিল মসজিদে না গিয়ে ঠিক দুপুরবেলা কয়েকজন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আমার বোনের মালিকানা জমিতে ধান রোপন করে। অতপর আমার বোনের পক্ষে আমরা এবং আমার বোনসহ কবিরহাট  থানায় গিয়ে  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করলে তিনি থানা থেকে আবার পুলিশ পাঠায় তাদেরকে থানায় আসতে বলে এবং লিখিত নোটিশ প্রদান করে। তখন থানায় বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষ উপস্থিত হলে বিবাদীরা কাগজ পত্র দেখাতে পারে নাই। এক পর্যায়ে কৌশলে থানা থেকে বেরিয়ে গিয়ে মোবাইল বন্ধ করে ইব্রাহিম খলিল ও জয়নাল আবদিন পালিয়ে চলে যায়। তাদের নাম্বারে ওসি মহোদয় নিজে ফোন করেও তাদের ফোন বন্ধ পান। তখন ওসি মহোদয় বলে তাদের কাগজ পত্র না থাকায় তারা পালিয়ে গেছে।

এরপর ইব্রাহিম খলিল এবং জয়নাল আবদিন উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন সাহেবের নিকট গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে আমরা কামরুল হুদা চৌধুরী লিটনের নিকট গিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে বলি যদি আমার বোন তার মালিকানা কাগজ পত্র দেখাতে না পারে তাহলে ঐ জমিতে আমার বোন কখনো দাবী করবেনা। তখন কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন সাহেব তাদেরকে আবার ডাকে। তখন তারা ২ দিনের সময় নিয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর ২৪ তারিখে আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে। অথচ আমি থাকি মাইমজদীতে। এই ভুমি দস্যু ইব্রাহিম খলিল আমার  বিরুদ্ধে একটি রাস্তার  বিষয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন, অথচ আমার বাবা প্রায় ১৫ শতক জায়গা মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা করার জন্য দিয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, ভূমি দস্যু ইব্রাহিম খলিল ২০১১ সালে আমার ভাই মোঃ শাহজাহান এর বিরুদ্ধে সিনয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে চাঁদাবাজির একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৪১২/২০১১ মামলাটি তদন্তের জন্য  কবিরহাট থানার সুন্দলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রহিম এর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হলে বাদী ইব্রাহিম খলিল মোঃ আবদুর রহিম চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে কোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত মামলাটি আমলে নেয়। এরপর আমরা ৪১২/১১ মামলার বিবাদীগণ জানতে পেরে মোঃ আবদুর রহিম চেয়ারম্যানের স্বরনাপন্ন হলে তিনি কোর্টে ১৫০/-টাকার ননজুডশিয়াল ষ্ট্যাম্পে এফিডেভিট দিয়ে স্বাক্ষর করে কোর্টে দাঁডিয়ে বলেন এই স্বাক্ষর তার নয়। বাদী জালিয়াতির মাধ্যমে তার স্বাক্ষর জাল করে উক্ত প্রতিবেদন কোর্টে দাখিল করেন। তখন উক্ত মামলার আসামীদের জামিন হয়। এবং তাকে প্রতারক হিসেবে আক্ষায়িত করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল হালিমের পিতা আবুল হাসেম, বোন হোসনেআরা বেগম, স্থানীয় বিএনপি নেতা শেখ আহম্মদ, হাবিব উল্যাহ, আনোয়ার হোসেন, আজিজুল হক, আবদুল মালেক, মমিনুল হক, সফিক উল্যা, আনোয়ার হোসেন, সহ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *