নোয়াখালীর কবিরহাটে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম
নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ২১ জানুয়ারী, ২০২২ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর মডেল ইউনিয়নে একটি শালিসী বৈঠক চলাকালে আজাদ হোসেন আরজু (৩৫) নামের এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে একদল দূর্বৃত্ত। এসময় তাদের হামলায় আরও অন্তত ৭জন আহত হয়। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীরা সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের তিন ভাইয়ের দোকান এলাকায় যাত্রীবাহী গাড়ির গতিরোধ করে সুন্দলপুরের লোকজনকে নামিয়ে মারধর করে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে আব্দুল্যাহ মিয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত আরজু মালিপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকের হোসেন জানান, গত রোববার দুপুরে অশ্বদিয়া ইউনিয়নের তিন ভাইয়ের দোকানের ৫-৬জন যুবক আব্দুল্যামিয়ারহাট পশ্চিম বাজারে আসে। এসময় তাদের বড় ভাই না বলায় সাবেক ইউপি সদস্য আমিন উল্যার ছেলে জামির উদ্দিন কছিকে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে কছিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার বিচারের জন্য উভয় পক্ষের লোকজনকে নিয়ে সালিশী বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার সন্ধ্যায় মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে শালিসী বৈঠক বসে।
তিনি আরও জানান, সন্ধ্যায় বৈঠকের শেষ পর্যায়ে অশ্বদিয়া ইউনিয়নের তিন ভাইয়ের দোকানের লোকজন উত্তেজিত হয়ে বাদী ও শালিসদারদেরকে গালমন্দ শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পর তারা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বাদী ও শালিসদারদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা ইউপি সদস্য আজাদ হোসেন আরজু সহ দুইজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এসময় আরও ৭জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। গুরুত্বর অবস্থায় আরজু মেম্বারসহ আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার জের ধরে, রাতে জেলা শহর মাইজদী ও সোনাপুর থেকে আব্দুল্যাহ মিয়ারহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা সিএনজি’সহ সকল ধরনের যানবাহনকে তিন ভাইয়ের দোকান এলাকায় গতিরোধ করে মিয়ার হাটের লোকজনকে নামিয়ে মারধর করে ওই হামলাকারীরা।
ওই স্থানে হামলার শিকার আব্দুল্যা মিয়ার হাট স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখার পরিচালক কামাল উদ্দিন জানান, রাতে তারা সোনাপুর থেকে সিএনজি যোগে মিয়ারহাটে আসার পথে তিন ভাইয়ের দোকান এলাকায় তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে। তার সাথে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলায় তার মাথা ও নাকের ডানপাশে পেটে যাওয়ায় সেখানে একটি ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মিয়ার হাটে আসেন।
কবিরহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিন ভাইয়ের দোকানে লোকজনকে পথরোধ করে মারধরের ঘটনাটি সুধারাম মডেল থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।