নোয়াখালীতে ভুল অপারেশনে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাংচুর
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূংফুল হায়দার চৌধুরী, ২৮ মার্চ, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর বেসরকারি প্রাইম হাসপাতালে ভুল অপারেশনে বিটন রহমান নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত রোগীর আত্মীয় স্বজনরা হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে সকাল ১০টার ভাংচুর চালায়। মৃত রোগী বিটন কবিরহাট উপজেলার উত্তমপুর লামছি গ্রামের আলহাজ্ব মফিজ মিয়ার ছেলে।
এদিকে দুপুরে সংবাদ সংগ্রহে গেলে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর উপর হাসপাতালের মালিক পক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে। মৃতের স্বজনরা জানান, গতকাল বিকাল ৫ টায় পিটনকে মেরুদন্ড অপারেশনের জন্য প্রাইম হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। প্রায় তিন ঘন্টা অপারেশন হয়েছে বলে জানায় হাসপাতালের লোকজন। রাত ১২ টা বাজলেও ওরা জানায় পিটনের জ্ঞান ফিরে নাই।
এরপর ভোর সাড়ে ৫ টায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় তিনি মারা গেছে। তাদের দাবী ভুল অপারেশনের কারণে পিটনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মৃত রোগীর স্বজনদের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মৃত রোগীর আত্মীয় স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও চিকিৎসক নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহতের বড় বোন লাইলী বেগম বলেন, গতকাল বিকাল ৫ টায় আমার ভাইকে মেরুদন্ড অপারেশনের জন্য প্রাইম হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। প্রায় তিন ঘন্টা অপারেশন হয়েছে বলে জানায় হাসপাতালের লোকজন। রাত ১২ টা বাজলেও ওরা জানায় আমার ভাইয়ের জ্ঞান ফিরে নাই। এরপর ভোর সাড়ে ৫ টায় বলে, আমার ভাই নাকি মারা গেছে।
নিহতের ভাই জহির উদ্দিন বলেন, ডাক্তারের ভুল অপারেশনের কারণে আমার ভাই মারা গেছে। অভিযুক্ত ডা. মো. ফরিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। কলকাতা টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি শরীফ খান বলেন, যখন হাসপাতালের লোকজন ও রোগীর লোকজন বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে তখন চিত্রধারণের সময় হাসপাতালের লোকজন আমার ওপর চড়াও হয়, মোবাইল ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে এবং মারধর ও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। উপস্থিত সাংবাদিকদের চাপে ভাঙ্গা মুঠোফোনটি ফেরত দেয়।
হাপাতালের এজিএম (ফিন্যান্স এন্ড এডমিন) শিপন সেন সাংবাদিকদের কাছে রোগীর অনাকাক্সিখত মৃত্যুর বিসয়ে দু:খ্য প্রকাশ করেন। একই সাথে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ক্ষমাও চান। জানতে চাইলে, সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. শাহেদ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সব কিছু স্বভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।