নীলফামারীতে প্রকাশ্যে ৫০টি গাছ উৎপাটন
নীলফামারী প্রতিনিধি, মো. শাইখুল ইসলাম সাগর, ১৪ জুন, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : সম্প্রতি বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় নিজ নামে ক্রয় করা জমিতে ৫০ টি আম গাছ রোপণ করেন হাবিবুর রহমান। রোপণকৃত গাছগুলো মধ্যযুগীয় কায়দায় টেনে উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে জুলফিকার (৩৭) নামে এক দুর্র্বৃত্তের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্র হতে জানা যায়, শনিবার (৫ জুন) প্রকাশ্যে দিবলোকে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের পশ্চিম আইসঢাল বড়পাড়া গ্রামের একটি জমিতে রোপণ করা ৫০টি আমগাছ একই গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে জুলফিকার সমূলে উৎপাটন করে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হাবিবুর রহমান ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানায় অভিযোগ দেয়ার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন ধরণের আইনী ব্যবস্থা না নেয়ায় এবং জুলফিকার প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোয় চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন হামলার শিকার হাবিবুর রহমান।
ক্ষতিগ্রস্থ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ২০১৬ সালে নিজের নামে ক্রয়কৃত ১১ শতাংশ জমির ৫ শতাংশের মধ্যে বসতভিটা করার জন্য সদর দরজাসহ পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছি। এছাড়া ৫ শতাংশ জমিতে পরিকল্পিত ভাবে আমপালি ও হাড়িভাঙ্গা জাতের অর্ধশত আমের চারা গাছ রোপণ করি। কিন্তু ৫ জুন আমার জমিতে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করে শতাধিক মানুষের সামনে সেগুলো টেনে তুলে ছুঁড়ে ফেলে জুলফিকার। গাছের সাথে জুলফিকারের এ কেমন শত্রুতা, আর কেমনইবা প্রতিশোধ, আমি বুঝতে পারছি না! ঘটনার পর থেকে আমি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছি।
তিনি আরো বলেন, জুলফিকার যা করেছে তা মারাত্মক ধরণের বৃক্ষ সন্ত্রাস, ৫০ টি গাছের তাজা প্রাণ দুমড়ে-মুচড়ে নিতে যার হাত একবিন্দুও কাঁপে না, সে যে কোন ধরণের অপরাধ করতে পারে। ন্যায়বিচার পেতে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, জুলফিকারের মত বৃক্ষ সন্ত্রাসীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। তিনি আরো বলেন, জুলফিকার এখনও আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জুলফিকারের সাথে কথা হলে তিনি গাছ উপড়ে ফেলার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান। সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, অভিযোগ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।