নীলফামারীতে ন্যায্য মূলে মাছ বিক্রি মৎস্য অধিদপ্তরের
নীলফামারী প্রতিনিধি, মো. শাইখুল ইসলাম সাগর, ২৯ এপ্রিল, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : সারা দেশের ন্যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নীলফামারীতে ন্যায্য মূল্যে ভ্রাম্যমান ট্রাকসেলে মাছ বিক্রি করছেন স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর। করোনা প্রতিরোধে প্রাণিজ খাবারের বিকল্প নেই। তাই রমজান ও লকডাউনে চলবে এই কার্যক্রম।
জেলার ছয় উপজেলার মাছ চাষিদের কাছ থেকে মাছ ক্রয় করে বিভিন্ন হাটে বাজারে এসব মাছ সরবারহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, লকডাউনে রেণু ও পোনা উৎপাদন, নার্সারি চাষিদের সফলভাবে মাছ উৎপাদন ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তারা।
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন উপজেলায় পণ্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট ষ্টিকার লাগিয়ে মাছ বিক্রি, পোনা ও রেণু সরবারহ অব্যাহত রেখেছে খামারীরা। প্রান্তিক চাষিদের সাথে খুচরা বিক্রেতাদের যোগসূত্র স্থাপনের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ মাছ বিক্রয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। লকডাউনের প্রাণিজ চাহিদা মিঠাতে জনগন স্বল্প মূল্যে মাছ কিনে খেতে পারেন সেজন্য নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়।
সূত্র জানায়, গত ১১ এপ্রিল থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত গড়ে ৫০ জন ভ্রাম্যমান মাছ বিক্রেতা প্রতিজন ৩০-৪০ কেজি বিভিন্ন জাতের মাছ হাটে বাজারে বিক্রয় করেছেন। এর মধ্যে দেশি-শিং, মাগুর, গুলশা, টেংরা ও রুই জাতীয় মাছসহ প্রায় ২৫ মে.টন মাছ বিক্রয় করেছেন। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩ পর্যন্ত উপজেলা শহরের বিভিন্ন মোড়ে এই কার্যক্রম চলছে। এতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।
সদর উপজেলার সাফানা হ্যাচারির সত্বাধিকারী মো. সোহেল পারভেজ জানান, এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০ কেজি কার্প জাতীয় মাছের রেণু উৎপাদন হয়েছে। তা মৎস্যজীবি ও প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ট্রাকসেলে ন্যায্যমূলে বিক্রি করা হচ্ছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ সহজে রেনু ও পোনা সংগ্রহ করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে সে লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি, লকডাউনেও এবার রেনু ও পোনা বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো।
অপর দিকে, ডিমলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামিমা আকতার জানান, লকডাউনে কর্মহীন মানুষ ন্যায্য মূল্যে এসব মাছ কিনে খেতে পারেন, সে জন্য প্রকার ভেদে ১৪০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। রমজান উপলক্ষে মাসব্যপি চলবে এই কার্যক্রম।
জানতে চাইলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেলে মাছ বিক্রি করে গত ১৯দিনে প্রায় ৪২লক্ষ ৫০হাজার টাকার মাছ বিক্রয় করা হয়েছে। এই কার্যক্রম পুরো রমজান মাসব্যাপি চলবে। সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব মাছ ক্রয় করতে পারবে। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় রোগ প্রতিরোধে সাধারন জনগণকে বেশি করে মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।