নরসিংদীর মনোহরদী হাসপাতালে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি
নরসিংদী প্রতিনিধি, কে.এইচ.নজরুল ইসলাম, ২৩ অক্টোবর, ২০১৯ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী বেলায়েত হোসেনের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মকান্ড। হাসপাতালের চিকিৎসকের নিকট থেকে রোগীদের প্রত্রয়ন বাণিজ্য, প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী পাঠিয়ে কমিশন বাণিজ্য, ইসিজি এবং আল্ট্রসনোগ্রামের অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ সকল কিছুই অভিযুক্ত ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী বেলায়েত হোসেনের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী বেলায়েত হোসেন স্থানীয় লোক হওয়ায় ক্ষমতাষীন রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মনোহরদী উপজেলা হাসপাতালটিকে তার একক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে পরিনত করেছে। ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী বেলায়েত হোসেন সরকারের উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসক কর্মচারী-কর্মকর্তাবৃন্দ তার প্রভাবের নিকট নতিশিকার করে সকলই তার সঙ্গে উৎকোচ বাণিজ্যে সমন্বয় রেখে নাম মাত্র কার্জক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে উপজেলাবাসী চরম উৎকন্ঠায় রয়েছে।
তার এহন সরকারবিরোধী অনৈতিক কর্মকান্ডের ফলে কতিপয় চিকিৎসক, সেবাগ্রহীতারা তার নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে।বেলায়েত হোসেনের রোগীদের প্রত্রয়ন বাণিজ্য, প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী পাঠিয়ে কমিশন বাণিজ্য, ইসিজি এবং আল্ট্রসনোগ্রামের অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ভাগবাটুয়ারা অন্যান্য অনেক কান্ডের ফলে সরকারের উপজেলার হাসপাতালটির শুনামও ক্ষেতি বিনষ্ঠ হয়ে পড়ছে।
এসব অনিয়ম দূর্নীতির ফলে বর্তমান সরকারও রাজনৈতিক দলসহ উপজেলার সেবা গ্রহীতারা প্রতিনিয়ত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। এসব অনিয়ম-দূর্নীতি দ্রুত বন্ধ না করা হলে সরকারের সবার জন্য স্বস্থ্যসেবা বিজ্ঞনিত হয়ে পড়বে, হাসপাতালের ভাবমূর্তীর পাশাপাশি সেবা গ্রহীতারা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে বলে সচেতন মহল জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বেলায়েত হোসেন জানায়, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা। মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃমোঃ রাশেদুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আমাকে বেলায়েত এর বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেনি। করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।
এই সেই বেলায়েত হোসেন হাসপাতালে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মন্যয়ে একটি গোপন ছিন্ডিকেডের মাধ্যমে তার ঘোষ বানিজ্য, অনিয়ম দূর্নীতি, উৎকোষ, রোগীদের প্রত্রয়ন বাণিজ্য, প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী পাঠিয়ে কমিশন বাণিজ্য, ইসিজি, আল্ট্রসনোগ্রামের অর্থ আত্মসাৎ, বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ ব্যাপক হাড়ে দেদারছে চালিয়ে আসছে বলে উপজেলার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।