নন্দীগ্রামে দুর্গাপূজার পস্তুতি ৪৬টি মন্ডপে বাজবে ঢাক
বগুড়া, নন্দীগ্রাম রিপোর্টার, হেলাল উদ্দিন, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দ ঘন পরিবেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপন উপলক্ষে নন্দীগ্রামে সব প্রস্তুতি শেষ। প্রতিবারের ন্যায় প্রতিটি পূজা মন্ডপের সামনে নানান সাজে নির্মাণ করা হচ্ছে এক একটি গেট। এবার মোট ৪৬ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে ১০ টি মন্ডপ অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে থানা পুলিশ।
সেগুলো হলো- পৌর শহরের হিন্দুপাড়া রাধা গোবিন্দ মন্দির, হিন্দুপাড়া বারোয়ারী দূর্গা পূজা মন্দির, বুড়ইল ইউনিয়নের বুড়ইল বারোয়ারী দূর্গাপূজা মন্দির, দাসগ্রাম বারোয়ারী দূর্গাপূজা মন্দির, নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের রনবাঘা বাজার দূর্গাপূজা মন্দির, ভাটরা ইউনিয়নের মুলকুড়ি পাড়া বারোয়ারী দুর্গাপূজা মন্দির, থালতামাজগ্রাম ইউনিয়নের চাঁনপুর উত্তরপাড়া বারোয়ারী দুর্গাপূজা মন্দির, চাঁনপুর মধ্যপাড়া বারোয়ারী দূর্গাপূজা মন্দির, চাঁনপুর পূর্বপাড়া বারোয়ারী দুর্গাপূজা মন্দির, ভাটগ্রাম ইউনিয়নের হাটকড়ই কালিবাড়ী বারোয়ারী দুর্গাপূজা মন্দির।
চন্ডি পাঠের মধ্যেদিয়ে দেবীর আগমনী শুভ মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক মন্ডপে নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও মন্ডপ সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ও মন্ডপের নিরাপত্তার স্বার্থে যাবতীয় করণীয় পদক্ষেপ নিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ও নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন পুলিশ, র্যাব, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও পূজা উদযাপন পরিষদের স্বেচ্ছাসেবীরা দাযিত্ব পালন করবেন। এছাড়াও মন্ডপগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা নিয়মিত টহলে থাকবে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ চন্দ্র সরকার বলেন, আমরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব পালন করে থাকি। তবে হিন্দুধর্মীয় নারী-পুরুষরা ব্যাপক আনন্দ উল্লাস করবে বলে মনে করেন তিনি।
অপরদিকে, যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্র্রহণের জন্য সর্বদা সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন বলে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক নিশ্চিত করেছেন। ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠি পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসব।