ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ও সার্কুলার স্থগিতঃ হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদ
ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ও সার্কুলার স্থগিত করেছে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ৯ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের শূন্য পদে উপ-নির্বাচন ও নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঐ তফসিলের বৈধতা চ্যালঞ্জ করে দু’টি করা হয়। রিট দুটির ওপর গতকাল শুনানি হয়। রিট দুটি করেন সিটি করপোরেশনে নতুন ওয়ার্ড হিসেবে যুক্ত হওয়া ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। আদালতে আতাউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভূঁইয়া। জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন সেলিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।
ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ৯ জানুয়ারি জারি করা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনের তফসিল এবং সার্কুলারের ওপর ৩ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে ঐ নির্বাচনের জন্য ইসি’র ঘোষিত তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভুত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন। রিটে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রেসপনডেন্ট (প্রতিপক্ষ) করা হয়। আইনজীবীর জানায়, গত ৯ জানুয়ারির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলে দিন নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এখন যিনি প্রার্থী হবেন তিনি কিন্তু জানেন না তিনি ভোটার কিনা। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে এটা সম্ভব হচ্ছে না।