ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ৯ বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী একশ গুণ বেড়েছে: এটি সরকারের অর্জন
ঢাকা, ১ ডিসেম্বর, ২০১৭ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে নয় বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা একশ গুণ বেড়েছে । দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আট কোটি, ২০০৮ সালে ছিল মাত্র আট লাখ। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, সরকার একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সহজ যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে দেশকে একটি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ উদ্যোগের আওতায় ইন্টারনেট সেবাসহ বিভিন্ন সেবা সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে এবং তারা ব্যবসাসহ যে কোনো উদ্দেশ্যে সহজে সারা বিশ্বে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে। সরকার ২০২১ সাল নাগাদ দেশব্যাপী শতভাগ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, সরকার ইনফো গভর্নমেন্ট ফেইজ-৩ প্রকল্পের আওতায় দেশের দুই হাজার ছয় শ ইউনিয়নে উচ্চ গতিসম্পন্ন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করবে। সরকার অধিক সংখ্যক জনগণের জন্য উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করতে এবং গ্রামীণ এলাকায় সরকারের ই-সেবা বাড়াতে ও নাগরিকদের স্থানীয় সরকারের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এবং সরকারি সংস্থাসমূহের মধ্যে নির্বিঘ্নে সম্পদ ও তথ্য বিনিময় নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী ব্যাকবোন নেটওয়ার্ক জোরদারে প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের অধীনে এ পর্যন্ত ১৮ হাজার একশ’ ৩২টি সরকারি অফিস ইতোমধ্যে সরকারের ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনা হয়েছে এবং প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১৭টি বই ইন্টারএক্টিভ ডিজিটাল কন্টেন্টে রূপান্তর করা হয়েছে।
আবু নাসের বলেন, সরকার আইসিটি খাতে মানবসম্পদ উন্নয়নে দেশেজুড়ে ২৮টি হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ করছে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটি (বিএইচটিপিএ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রায় সাড়ে ছয় হাজার যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। বিএইচটিপিএ মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে স্কিল এনহান্সমেন্ট প্রোগ্রাম, মিড লেভেল প্রোগ্রাম, কোম্পানি সার্টিফিকেমন প্রোগ্রাম, সি-লেভেল ট্রেইনিং প্রোগ্রাম, ট্রেইনিং অন লীন সিক্স সিগমা, ওরাকল ও স্যাপ-এর আওতায় যুবকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সরকার বহু মর্যাদাবান আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। এস পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- সাউথ সাঊথ অ্যাওয়ার্ড ২০১১, ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট ফর ডিজিটাল হেল্থ, গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৪, সাউথ সাউথ কো-অপারেশন ভিশনারি অ্যাওয়ার্ড ২০১৪, ওয়ার্ল্ড আইটি সাভিসেস অ্যালাইয়েন্স (ডব্লিউঅইটিএসএ) অ্যাওয়ার্ড ২০১৪, আইসিটিজ ইন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৫, আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৬, গ্লোবাল মোবাইল গভর্নমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৭, এশিয়ন-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গ্যানাইজেশন (এএসওসিঅইও) ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৬।