ঝিনাইদহে হিন্দু নারী ধর্ষণের পর প্রভাব শালিদের সহযোগিতায় ক্ষমা চেয়ে মাফ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ২৭ মার্চ ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ঝিনাইদহে চার সন্তানের জননী হিন্দু নারীকে ধর্ষণ করার পরে প্রভাবশালিদের দিয়ে কৌশলে সহযোগিতায় শুধুমাত্র মাপ চেয়ে সমঝোতা করা হয়েছে বলে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ভরতপুর গ্রামে।
জানা গেছে, ভরতপুর গ্রামের মৃত আইয়ুব মন্ডলের ছেলে রশিদ (৪৮) পাশের বাড়ির এক হিন্দু নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটা ঘটেছে গত ১৭ই মার্চ শনিবার গভির রাতে। কালীপুজা চলাকালীন সময়ে ঐ গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন মাষ্টারের বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় লম্পট রশিদ ঐ নারীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এ সময় পাশের বাড়ির জনৈক ব্যাক্তি ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পেয়ে কালীপুজায় থাকা তার স্বামীকে খবর দেয়। খবর পেয়ে তার স্বামী দৌড়ে আসলে রশিদ ততক্ষনাত পালিয়ে যায়। তখন অসহায় নারী তার স্বামীকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। তখন এই পরিবার ঘটনার জন্য সমাজ পতিদের দারস্ত হলে, তারা ঘটনাটা চেপে যেতে বলে তা না হলে তাদের আরও অসুবিধা হবে বলে হুমকি দেয়।
এ ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার ব্যাপারে জবরদস্তি ভুমিকা পালন করে ঐ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ঝন্টু বলে গুজব উঠেছে। উল্লেখ্যে, ইউপি সদস্য ঝন্টুর অত্যাচরে অতিষ্ঠ হয়ে ইতিপূর্বে ভরতপুর গ্রাম থেকে অনেক হিন্দু পরিবার ভারতে চলে গেছে। এই সাবেক ইউপি সদস্য ঝন্টু সাংবাদিককে এ নিউজটি করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কত জাইগা এর থেকে বড় বড় ঘটনা ঘটছে সেখানে আপনারা যান না। অথচ আমরা যে ঘটনা মীমাংসা করে দিয়েছি সে ঘটনার জন্য সাংবাদিক কেন? এ প্রসঙ্গে ঐ হিন্দু নারীর স্বামী বলেন, কি মীমাংসা হয়েছে তা আমি জানি না।
ধুর্ত রশিদ গ্রামের ৪/৫ জন লোক সাথে করে আমার নিকট মাপ চেয়ে গেছে। আমি কোন প্রকার বিচার পায়নি। যদি আপনাদের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটত তাহলে তারা সঠিক বিচার পেত। আমি দরিদ্র মানুষ বলে এর বিচার পেলাম না। আবার কাউকে বললে আমার জীবন বাঁচা ও স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করা দায় হয়ে পড়বে।
এ প্রসঙ্গে মহারাজ পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম ঘটনা জানে না বলে জানায়। কেউ তার কাছে কিছুই জানায়নি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদ খান বলেন, ঘটনা টি তার জানা নেই। এমন ঘটনা ঘটলে আমি জানতাম। তারপরে আমি তদন্ত করে এর ব্যবস্থা নিচ্ছি।