জন্মশতবর্ষে; বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৭ মার্চ, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তিনি আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডী ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর স্বাধীনতার এই মহান স্থপতির প্রতি সম্মান জানানোর অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। জাতির পিতার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সায়মা ওয়াজেদ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জেষ্ঠ্য নেতৃবৃন্দ ও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে দলের জেষ্ঠ্য নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে আরেকটি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এর পর জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক মোহম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের নেতৃত্বে (পিএমও) কর্মকর্তাবৃন্দ শ্রদ্ধা জানান। পরে, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আজ থেকে শতবর্ষ আগে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ লুৎফর রহমান এবং সায়রা খাতুনের ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। সারাদেশে আজকের দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসবেও উদযাপিত হচ্ছে। সরকার ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২৬ মার্চ ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়কে জাতির পিতার এই জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে সমগ্র বিশ্বে ইউনেস্কো এই বছরটি উদযাপন করবে। এজন্য বছরজুড়ে নানা অনুষ্ঠানমালা গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর এই অনুষ্ঠানমালার কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে এই অনুষ্ঠানমালার জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী কর্মসূচি মূলতবি করা হয়েছে যা পরে অনুষ্ঠিত হবে। জাতির পিতার জন্মক্ষণে রাত ৮ টায় আতশবাজি পোড়ানোর মাধ্যমে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জন্ম শতবর্ষের উদযাপন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।