জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে আনাসহ একগুচ্ছ সুপারিশ: সরকারি দলের সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সংলাপের সুপারিশ
নির্বাচন, ০৪ অক্টোবর, ২০১৭, (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪): নির্বাচনের সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে আনাসহ একগুচ্ছ সুপারিশ এসেছে ইসির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে। ইসির সভাকক্ষে সোমবার (২৮ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে অংশ নেয় খেলাফত মজলিশ ও মুসলিম লীগ। মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে খেলাফত মজলিশের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। এর আগে ইসির সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় মুসলিম লীগের সঙ্গে।এগুলোর মধ্যে রয়েছে-ইসিকে শক্তিশালী করে নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতকরণ, সরকারি দলের সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সংলাপের আয়োজন, নির্বাচনকালে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর ইসির নিয়ন্ত্রণ, সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে মোতায়েন, ইসি কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, ২০০৮ সালের সীমানায় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান।
নির্বাচনে কালোটাকা-পেশি শক্তির ব্যবহার রোধ, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমাদানের ব্যবস্থাকরণ, সরকারি প্রচারয্ন্ত্র ব্যবহারে সকল দলের সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ, ভোটকেন্দ্রে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন, সরকারি চাকরি থেকে অবসরের ৫ বছর পর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি, প্রতি ১ হাজার ভোটারের জন্য কেন্দ্র স্থাপন এবং প্রবাসীদের ভোটদানে ব্যবস্থাকরণের প্রতি জোর দিয়েছে দলটি। এদিকে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ সংলাপে যেসব সুপারিশ করেছে এগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সেনা মোতায়েন, সর্বোচ্চ নির্বাচনী ব্যয় ১ কোটি টাকা করা, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, নির্বাচনকালে সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া প্রভৃতি।