চৌদ্দগ্রাম বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে হাটু সমান পানি
বিশেষ প্রতিনিধি, মীর মোজাহারুল হক, ২২ আগষ্ট ২০২৪ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : চৌদ্দগ্রাম বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে চট্টগ্রামমুখী লেন হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী আটকা পরেছে চট্টগ্রাম মুখী যানবাহন।২২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বলে ভুক্তভুগীরা জানান।
সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার নবগ্রাম রাস্তার মাথা থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। সড়ক ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ধীর গতিতে হওয়ায় সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃস্টি হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদ, উপজেলা সাস্থ্য কম্প্লেক্সে দুদিন আগেই পানি ডুকে পরেছে। বন্ধ রয়েছে সবধরনে সেবা প্রদানের কাজ। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন পার্শবর্তী বিভিন্ন স্কুল কলেজ, মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছে। অনেকের ঘরের মালামাল সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পানিতে ডুবে গেছে।
উপজেলার উজিরপুর, কালিকাপুর, কাশিনগর, মুন্সিরহাট, শুভপুর, পৌরসভা, বাতিসা, কনকাপৈত, চিওড়া, আলকরা, গুনবতি ইউনিয়নের বেশীর ভাগ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে এতে করে রোপা আমন সহ বিভিন্ন সাক সবজির ব্যাপক ক্ষতি সাধনের আসংখ্যা রয়েছে। এদিকে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ডলে উপজেলার কাঁকড়ি নদী, ডাকাতিয়া নদী, বালুজুরি নদী সহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে কাশিনগর ইউনিয়নের বরইয়াবাড়ি এলায় কাঁকড়ি নদী বাঁধ ভেংগে রামচন্দ্রপুর, পরানপুর, বালিমুড়ি, মানিকপুর, শামু কসার, জয়মংগলপুর, ইলাশপুর সহ বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে লক্ষ লক্ষ টাকার পুকুরের মাছ। এসব গ্রামের মানুষজন গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, জরুরী ত্রান সহায়তা না এলে অনেকেই খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকটে পরতে পারে। মিয়া বাজার বন্যা কবলিতদের সহায়তায় একটি সেচ্ছাসেবক টিম অধ্যাপক মিয়া আরিফুর রহমান মন্জুর নেতৃত্বে রাত জেগে সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসন যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করেছে বলে জানা গেছে।