চৌদ্দগ্রাম পারিবারিক কলহে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী আটক

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, আবদুল মান্নান, ০৯ জুন, ২০২৪ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম পারিবারিক কলহের জেরে লিপি আক্তার (৩৬) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের মতিয়াতলী গ্রামের মো: জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো: আলমগীর হোসেন এর স্ত্রী ও কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার সরাপতি গ্রামের মো: সুন্দর আলীর মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে একই ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার সোহাগের ভাড়া বাসায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো: আলী হোসেন বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররাচনার অভিযোগ এনে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী আলমগীরকে আটক করেছে। শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা।

জানা গেছে, নিহত লিপি আক্তারের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে ২১ বছর পূর্বে কুমিল্লা সদর থানার মুন্সেফ কোয়ার্টার এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো: আবুল কালাম (৪০) এর বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের সংসারে ৩ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান হয়। বিগত ১০/১১ মাস পূর্বে লিপি আক্তার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের মতিয়াতলী গ্রামের মো: জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আলমগীর হোসেন এর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে স্বামী-সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিক আলমগীরের হাত ধরে চৌদ্দগ্রামে চলে আসেন লিপি। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এরপর থেকে আলমগীরের সঙ্গেই দূর্গাপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় সংসার জীবন শুরু করেন।

নতুন জীবন শুরু করলেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সংসারে প্রায় সময়ই কলহ লেগে থাকতো বলে জানা গেছে। পারিবারিক কলহের জেরে শনিবার রাত বারটার পরে লিপি তার স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ভাড়া বাসার ভুতুরের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। সংবাদ পেয়ে রাত আড়াইটায় চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল কুদ্দুস সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার ও ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আলমগীর হোসেনকে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই আলী হোসেন।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক মো: আলমগীর হোসেন জানান, ‘সংবাদ পেয়ে সুরতহাল শেষে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় নিহতের স্বামী আলমগীরকে আটক করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। নিহতের ভাই বাদী হয়ে তার স্বামী আলমগীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে থানায় মামলা দায়ের করলে শনিবার দুপুরে আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *