চৌদ্দগ্রাম ডাকাতিয়া নদী পরিদর্শন করলেন ইউএনও
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, আবদুল মান্নান, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম গত ১২-২০ অক্টোবর পর্যন্ত কনকাপৈত উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে কনকাপৈত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন মজুমদারের নেতৃত্বে মরকটা ডাকাতিয়া নদীতে সৃষ্ট জমাট বাঁধা কচুরিপানা, বিভিন্ন তরুলতাসহ আগাছা ও বর্জ্য অপসারণ কর্মসূচি পালিত হয়েছিল। দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীর সপ্তাহব্যাপী আপ্রাণ প্রচেষ্টায় নদী থেকে এ বর্জ্য অপসারণ করা হয়। ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসনসহ সর্বস্তরের প্রশংসায় ভাসছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বর্জ্য অপসারণের পর পরিচ্ছন্ন ও বহমান মরকটা ডাকাতিয়া নদী পরিদর্শন করেন।
উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ২০২৪-এর বন্যা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে গেছে। এ এলাকার বয়স্ক নাগরিকদের সাথে আলাপ করে জেনেছি, গত ১০০ বছরেও এ অঞ্চলে এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি হয়নি। বন্যার ফলে বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিসহ এবার এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যাকালীন এ অঞ্চলের বিত্তবানরা ত্রাণসামগ্রী, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী নিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এটি অসহায় পরিবারের লোকজনের জন্য বেশ কাজে দিয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের কাজ অনেক সহজ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যারা নদীর পাশে বসবাস করি, তারা বিভিন্ন ভাবে নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃৃষ্টি করে থাকি। মনের অজান্তেই এক হাত-দুই হাত করে নদীর পাড়ের বাড়ির জায়গা বাড়ানোয় ব্যস্ত থাকি। এ ধরনের হীন মানসিকতা থেকে আমাদের এখনই বের হয়ে আসতে হবে। নদীমাতৃক দেশে নদীকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। কনকাপৈত ইউপির সাবেক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এ এলাকার স্বেচ্ছাসেবীরা দীর্ঘ প্রচেষ্টায় মরকটা ডাকাতিয়া নদীর কচুরিপানাসহ বর্জ্য অপসারণ করায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ডাকাতিয়া নদীর মাঝে কেউ যেন মাছ ধরার কারণে বা কচুরিপানা আটকে দিয়ে পানির স্বাভাবিক গতিতে বাধাসৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
কনকাপৈত ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন মজুমদার বলেন, কনকাপৈত ইউনিয়নকে একটি কৃষিবান্ধব মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরে কনকাপৈত উন্নয়ন ফোরাম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ কাজে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে এসেছে। এ সময় তিনি ভবিষ্যতেও উন্নয়ন ফোরামের ব্যানারে ইউনিয়নের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মরকটা ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এবিএম কবির হোসেন, কনকাপৈত ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (প্যানেল চেয়ারম্যান-১) মীর হোসেন, তারাশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. নাছির উদ্দিন মজুমদার, ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন মিয়াজী, ইউনিয়ন শ্রমিক নেতা মো. ইউসুফ, ইউপি সদস্য মো. নুরুল আমিন, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজসেবক কাজী মো. বশির আহমেদ, মো. বেলাল হোসেন, কাজী মহিন উদ্দিন নয়ন, ডা. জহিরুল ইসলাম মজুমদার, মো. মহি উদ্দিন মজুমদার, যুবনেতা আমিনুল ইসলাম ছুট্টু, মো. শাহআলম মজুমদার, কাজী মাসুদ রানা, কাজী আরিফ হোসেন, প্রবাসী মো. ইমাম হোসেন মজুমদার, মো. জোবায়ের হোসেন, যুবনেতা ফুয়াদ ইবনে মোস্তফা, নুরুল আলম, মো. ফারহান মজুমদার, কাজী আরিফ হোসেন, মো. আরাফাত প্রমুখ।