চৌদ্দগ্রাম জলাবদ্ধতায় ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধব
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, আবদুল মান্নান, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : চৌদ্দগ্রাম জলাবদ্ধতার কারণে ৮২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় বিদ্যালয় ৭০টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭ টি ও ৫ টি মাদ্রাসা। এসব প্রতিষ্ঠানের ভবনের মেঝে, মাঠে ও রাস্তায় পানি রয়েছে বলে উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। তবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলোতেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক কম বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে স্বরণকালের বন্যায় উপজেলার একটি পৌরসভা ও তেরোটি ইউনিয়নের বেশীরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এসময় ১৭০টি প্রাথমিক, ৫৪টি মাধ্যমিক, ৪৮টি মাদ্রাসা, ১ টি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ ও ১১টি কলেজসহ ২৮৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠে যায়।
এছাড়া চারপাশে পানি উঠে যাওয়ার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবন গুলোতে মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। এতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় আলকরা ইউনিয়ন বাককগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এখনো পানি অবস্থান করছে এ কারণে এখানে এখনো বিদ্যালয় ক্লাস শুরু করতে পারেনি। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে পাঠদান শুরু হলেও চৌদ্দগ্রামে ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৫টি মাদ্রাসার ভবনের মেঝে, মাঠ ও রাস্তায় পানি থাকার কারণে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি নেমে গেলে এবং পাঠদানের উপযোগী হলে তখন এসব প্রতিষ্ঠানেও কার্যক্রম শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এদিকে চারপাশে এখনো পানি থৈ থৈ অবস্থায় থাকায় আদরের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতেও অনেক অভিভাবক ভয় পাচ্ছেন। অনেক শিক্ষার্থীর বইপত্র পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। তারা পড়াশোনা করতে পারছে না। কিছু এলাকায় বাড়ির উঠানে এবং রাস্তায় পানি থাকার কারণেও অনেক শিক্ষার্থী আসতে পারতেছে না। ফলে পাঠদান শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। আহসান উল্যাহ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বন্যার পানি ঘরে প্রবেশ করে বই-খাতাসহ সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। এখন কিভাবে স্কুলে যাবো চিন্তা পড়ে গেলাম।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকিনা বেগম বলেন, উপজেলার ১৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭০টিতে পানি উঠেছে। এখনো ৭০টি বিদ্যালয়ের ভবনের মেঝেতে, মাঠে ও রাস্তায় পানি রয়েছে। ওই বিদ্যালয় গুলোতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ৬৭ বিদ্যালয়ের কিছু বে, টয়লেট ও ফ্লোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পানি নেমে গেছে ওইসব বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হয়েছে তবে চতুর্দিকে পানি থাকার কারণে উপস্থিতি একদম কম বলে তিনি জানান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.কে.এম মীর হোসেন জানান, পানি থাকার কারণে উপজেলার ০৭টি স্কুল ও ০৫টি মাদ্রাসায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান শুরু হয়েছে।