চৌদ্দগ্রামে মাদক মামলায় ২ বছরের সাজা, তবুও বহাল তবিয়তে ইউপি সদস্য
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, আবদুল মান্নান, ২৮ মার্চ ২০২৩ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : মাদক মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল বাহার নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সচেতন মহল।
জানা গেছে, মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল রাখার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরুল বাহারসহ আসামিদের বিরুদ্ধে কারাদন্ডের রায় প্রদান করেছেন কুমিল্লার আদালত। গত ১৬ মার্চ বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোছা. মরিয়ম মুন মুহুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিদের পলাতক দেখিয়ে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। আসামিরা হলেন, একই ইউনিয়নের শালুকিয়া গ্রামের রুকু মিয়ার ছেলে মো. মাসুদ মিয়া, আবুল মিয়ার ছেলে মো. সাদ্দাম, জুলফু মিয়ার ছেলে মো. ওয়াসিম।
জানা যায়, উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের শালুকিয়া এলাকা থেকে অবৈধ মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল রাখার অভিযোগে নুরুল বাহারসহ তিনজনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানর উপপরিদর্শক কায়সার হামিদ ২০১৬ সালের ১৬ ফেরুয়ারি থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরুল বাহার বলেন, ‘আমি নিয়মিত ঘোলপাশা ইউনিয়ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছি। তবে আদালতের রায়ে তাকে পলাতক দেখানোর বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
ঘোলপাশা ইউপি চেয়ারম্যান এ কে খোকন জানান, আদালতের রায়ের বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যেহেতু আদালতের রায়ে সাজা হয়েছে সেহেতু এই বিষয়ে যে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করব।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভরঞ্জন চাকমা বলেন, আমি এখনো আদালতের রায়ের কোনো কপি হাতে পাইনি। রায়ের কপি পেলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, ‘আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামি জনপ্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। বিষয়টি আমি এখন আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। খবর নিয়ে এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।