চৌদ্দগ্রামে চোরাই তেল ও নকল ভিটুমিন তৈরীর কারখানার সন্ধান
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, মোঃ আবদুল মান্নান, ১৬ জুন, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চোরাই জ্বালানি তেল ও নিম্নমানের বিটুমিন তৈরীর অবৈধ ‘মেসার্স আলম এন্ড কোম্পানী’ নামের কারখানায় অভিযান চালিয়ে আবদুল মান্নান (৪৮) ও ফোরকান (২৩) নামে দু’জনকে আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর সদস্যরা। আটককৃত আব্দুল মান্নান উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের গুণবতী গ্রামের আলম মিয়ার পুত্র এবং ফোরকান নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের তপবন গ্রামের মোঃ মোস্তফার পুত্র। আবদুল মান্নানকে ১ বছর ও ফোরকান মিয়াকে ৬ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকালে কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর উপ-পরিচালক ও কোম্পানী অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি টিম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় অবস্থিত নকল জ্বালানি তেল ও বিটুমিন তৈরীর কারখানায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে কারখানায় কর্মরত আবদুল মান্নান ও ফোরকান নামে দু’জনকে আটক এবং দুইটি তেলবাহী ট্রাক ও একটি ডিজেল ভর্তি পিকআপসহ বিপুল পরিমাণ চোরাই তেল ও পোড়া মবিল জব্দ করেছে র্যাব।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গুনবতী গ্রামের আবদুল হান্নান আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এ কারখানায় অবৈধ উপায়ে পোড়া মবিলকে এসিডের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে জ্বালানি তেল ও নিম্নমানের বিটুমিন তৈরী করে আসছিল। এছাড়াও মহাসড়কে চলমান লরি, কন্টিনারসহ বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভারদের সাথে গোপন চুক্তির মাধ্যমে কমদামে চোরাই জ্বালানি তেল কিনে গুদামজাত করে বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বেশি মুনাফায় বিক্রি করে আসছিল। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের বিভিন্ন বাহিনী, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ কারখানা পরিচালনা করে। ফলে তার কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কেউ কোন কিছুই বলতে সাহস পেত না। মঙ্গলবার বিকেলে র্যাবের অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর উপ-পরিচালক ও কোম্পানী অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নকল জ্বালানি তেল ও নিম্নমানের বিটুমিন তৈরীর কারখানা সিলগালা করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে-এখানে পরিবেশগত ঝুঁকির মধ্য দিয়ে পোড়া মবিলকে এসিডের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে জ্বালানি তেল ও নিম্নমানের বিটুমিন তৈরী করে আসছিল একটি অসাধু চক্র। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়। কারখানার মালিক আব্দুল হান্নান পলাতক রয়েছে’।