চৌদ্দগ্রামে কাউন্সিলর হালিমের উদ্যোগে ১৫০ টি দরিদ্র পরিবারে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, মো. আব্দুল মান্নান, ৩০ মার্চ, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সিন্ধান্ত বাস্তবায়নে এবং চৌদ্দগ্রামের সাংসদ, সাবেক রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক মুজিব এমপি’র নির্দেশনায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৌর কাউন্সিলর মো. আব্দুল হালিমের ব্যক্তিগত উদ্যোগে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ১৫০টি হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে (প্রতি পরিবারে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, আধা লিটার তেল, ১ কেজি পেয়াজ, ১ কেজি লবণ, আধা কেজি সাবান) নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে উপজেলার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাধিন ৪নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্র মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন পৌর কাউন্সিলর মো. আব্দুল হালিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছুট্টু মিয়া, কবির আহমদ, পূর্ব চান্দিশকরা তরুণ সংঘের সৈকত, সাদ্দাম, নয়ন, মিশু, শহিদ, শাকিল ও কাউন্সিলর আবদুল হালিমের ছেলে রিদমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারি নির্দেশে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা হতদরিদ্রদের খোঁজ নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করায় কাউন্সিলর আবদুল হালিমকে সকলেই ধন্যবাদ জানান।
বিপদের সময়ে ঘরে অবস্থান করে খাবার পেয়ে হতদরিদ্ররা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এর আগে নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ ও বিস্তৃতি রোধে গরিব-অসহায়দের মাঝে মাস্ক ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ এর পাশাপাশি পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র ৪নং ওয়ার্ড এর প্রতিটি রাস্তা সহ আনাচে-কানাচে জীবানুনাশক স্প্রে করেন কাউন্সিলর আব্দুল হালিম। এছাড়াও একই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সুবিধার্থে দু’টি স্পটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে উন্মুক্তভাবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেন।
এবিষয়ে পৌর কাউন্সিলর আব্দুল হালিম বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিন্ধান্ত বাস্তবায়নে, আমার প্রিয় নেতা সাবেক সফল রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক মুজিব এমপি মহোদয়ের নির্দেশনায় আমার ওয়ার্ডের প্রতিটি অসহায় পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বিতরণ করি। আমার ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে আমি সর্বদা প্রস্তুত আছি। যতদিন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কারণে এ অবস্থা চলমান থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে, আমি বিশ্বাস করি, আমার ওয়ার্ডের কেউ না খেয়ে থাকবেনা।”