চাওয়ায় প্রেমিকাকে গলা কেটে হত্যা, গ্রেফতার ২
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি, লূংফুল হায়দার চৌধুরী, ০১ অক্টোবর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্ন ইউনিয়নের করমুল্লাপুর গ্রাম থেকে বস্তা বন্দি গলা কাটা নারীর পরিচয় এবং ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই হত্যাকারীকে আটক করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ এলাকা থেকে অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহত শাহানা (১৮) চাঁদপুর জেলার পুরান বাজার গ্রামের শাহ আলম’র মেয়ে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ গ্রামের বাগারি বাড়ির মৃত জামাল উদ্দিন’র ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২৬), একই এলাকার চৌকিদার বাড়ির মো.আব্দুল মালেক’র ছেলে মো. রাসেল (২৪)।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত দুই আসামিকে বিচারিক আদালতে হাজির করলে গ্রেফতারকৃত আসামিরা নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খুনের দ্বায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে। পরে আদালত তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
সুধারম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত শাহানার সাথে মুঠোফোনে ইয়াছিন আরাফাতের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এর আগে কয়েকবার শাহানা প্রেমিক ইয়াছিনের উদ্দেশে চাঁদপুর থেকে নোয়াখালীতে আসে। সর্বশেষ গত (২৯ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী আসে সে।
এক পর্যায়ে শাহানা ইয়াছিনকে তাকে বিয়ে করতে চাপ প্রয়োগ করে। বিয়ে করার কথা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। কথা কাটাকাটির জের ধরে ইয়াছিন ও তার সহযোগী রাসেল কৌশলে শাহানাকে নোয়ান্ন ইউনিয়নের খন্দকার স’মিলের পিছনে একটি তিন তলা পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে। পরে মরদেহ বস্তায় ঢুকিয়ে লাশ নোয়ান্ন ইউনিয়নের করমুল্লাপুর গ্রামের একটি ডোবার মধ্যে ফেলে দিয়ে আসে।
ওসি নবীর হোসেন আরো জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার শেষে। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সম্পূর্ণ কল লিস্ট চেক করে এবং এ হত্যাকান্ড মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ডসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে রহস্য উদঘাটন করে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার ৩নং নোয়ান্নই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের করমুল্যাহপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় ওই তরুণীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।