চাঁদা না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধার ভবন ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লুৎফুল হায়দার চৌধুরী, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালী বেগমগঞ্জ জিরতলী ইউনিয়নে মহেশপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সোলাইমানের বসত বাড়িতে হয় এমন ঘটনা। জানা যায়, সোলাইমান স্থায়ী ভাবে বসবাস করার জন্য নিজ বসত ভিটাতে ১তলা বিশিষ্ট একটি নতুন ভবন নির্মাণ এর কাজ শুরু করে।
স্থায়ী আবাস নির্মাণের শুরু থেকে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীরা তার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। ১৬ নভেম্বর ২০২০ তার নির্মিত ভবনটির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু দাবিকৃত চাঁদা না পাওয়ায় একইদিন রাত আনুমানিক ১.০০ টার সময় চুন্নুর নেতৃত্বে বাবু, সমীর ও বাবলু সহ অজ্ঞাত ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী তার নবনির্মিত ছাদের বাঁশের খুটি গুলো পেলে দেয়।
পরে গ্যান্ডিং মিশিন ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ছাদের একাংশ ভেঙে পেলে। অজ্ঞাত অন্যান্য দুর্বৃত্তরা বসত ঘরে ডুকে তার গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র ভাংচুর করে। পরে নগদ টাকা সহ স্বর্নলংকার লুটপাট করে হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে তার পাঁচলক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিনিধিকে জানায়।
মোঃ সোলাইমান বাদীহয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় চুন্নু, বাবু,সমীর ও বাবলু নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগ মতে, মাহামুদুল হাসান চুন্নুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করে। ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বেগমগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল বলেন,অপরাধী যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই বিষয় মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সোলাইমান বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আজ চরম বিপাকে নিরাপত্তাহীন আছি। সন্ত্রাসীরা সরাসরি আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আমার বাড়িঘর লুটপাট করে নিয়ে গেল। এই বিষয় আমি সরকার বাহাদুর এর কাছে বিচার চাই। এই সব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।
আরও খবরঃ-
**নোায়াখালীতে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘট, কলম বিরতি ও সমাবেশ**
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লুৎফুল হায়দার চৌধুরী, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীতে বেতন গ্রেড উন্নীতকরণ ও পদবী পরিবর্তনের জন্য জেলার ডিসি অফিস, উপজেলা নির্বাহী অফিস ও এসিল্যান্ড অফিসসহ সকল তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘট, কলম বিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা শাখার সভাপতি বেলায়েত হোসেন, সাধারন সম্পাদক মো.আব্দুর রহিম, সহ-সভাপতি মো.ইউছুপ, সিরাজ উদ্দিন মানিক ও নির্বাহী সদস্য মো.জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সচিবালয়ের মতো মাঠ প্রশাসনের কর্মরত ১১-১৬ গ্রেডভূক্ত কর্মচারীদের পদবী পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীতকরণ দাবি জানান। এ দাবি মানা না হলে তারা আগামী ৩০ নভেম্বরের পরে আরো কঠিন কর্মসূচি দিবে বলে হুশিয়ারী দেন।
তাদের এ আন্দোলনের ফলে জেলা প্রশাসকসহ জেলার ৯টি উপজেলার সকল উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে জন ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তারা গত ১৫ নভেম্বর থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলে জানান।
**চাটখিলে অসঙ্গতি পেয়ে এক্সরে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগ সিলগালা**
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লুৎফুল হায়দার চৌধুরী, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর চাটখিল পৌর শহরের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক্সরে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগে অসঙ্গতি পেয়ে দু’টি বিভাগ সিলগালা করেছে জেলা সিভিল সার্জন। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা.মাসুদ ইফতেখার আকষ্মিকভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় অভিযান পরিচালনায় সহযোগীতা করেন চাটখিল থানার একদল পুলিশ।
সূত্রে জানা যায়, ডাক্তারের পরিবর্তে অদক্ষ লোক দিয়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক্সরে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগ পরিচালনা করে আসছিল। সিভিল সার্জন আকষ্মিক অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে হাসপাতালের ওই দু’টি বিভাগ সিলগালা করে বন্ধ করে দেয়।
সিভিল সার্জন ডা.মাসুদ ইফতেখার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যম কর্মিদের জানান, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, চাটখিলের বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ওষুধের দোকান গুলোর অনেকেই ওষুধ প্রশাসনের নিয়ম নীতি মানছে না।