গণপরিবহন সংকটে চরম ভেগান্তিতে গজারিয়াবাসী, জনতার খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রী বরাবর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
গনতন্ত্রের মানসকন্যা, জননেত্রী শেখা হাসিনা,
আপনি হলেন সারা বাংলার অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল। দেশের উন্নয়নের ধারক ও বাহক। দেশকে এগিয়ে নেয়ার পথপ্রর্দশক । বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়াতে সক্ষম করেছেন স্বাধীন সার্বভৌমত্ব আমাদের এই বাংলাদেশকে । উন্নয়নের জোয়ারে ছেয়ে দিয়েছেন সারা বাংলার চিত্রে। উন্নয়নের অপর নাম জননেত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশেকে সমুন্নত রাখার নিরাপদ ঠিকানা বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের সাহসী নেতার নাম জননেত্রী শেখ হাসিনা। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে নিজের দেশকে গর্বিত করে তুলেছে সারা বিশ্বে। উন্নয়নের ছোয়ায় আলোকিত করেছে সারাদেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলেও। এই ছোয়া থেকে বাদ পড়েনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলাও।
এপি আই শিল্প পার্ক, আব্দুল মোনায়েম ইকোনোমিক্স জোন, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কারনে ছোট্ট এই গজারিয়া উপজেলার নামটিও চলে গেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বিদেশীদের বিনিয়োগে গজারিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান, দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নির্মান কাজ, শুরু হওয়ার পথে অনেক বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নির্মান প্রক্রিয়া। প্রস্তাবিত আছে একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান।
বলা চলে খুব সীমিত সময়ের ব্যবধানে একটি পুর্নাঙ্গ শিল্প নগরী হিসাবে পরিচিত লাভ করতে যাচ্ছে গজারিয়া উপজেলা।
মাননীয প্রধানমন্ত্রী,জননেত্রী শেখ হাসিনা, বর্তমান সরকারের আমলে গজারিয়ায় হাজারো উন্নয়নের চিত্র ফুটে উঠেছে, তবে অত্যান্ত দুংখ ও পরিতাপের বিষয়, সকল উন্নয়ন অম্লান হয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র একটি অভাবে, যেই অভাবটি গজারিয়ার সাধারন জনগনের দৈনিন্দন জীবনে প্রভাব পড়ছে।
ফুসে উঠতে শুরু করেছে গজারিয়ার আপামোর জনতা। জন গুরত্বপুর্ন সেই অভাবটির নাম হলো জনতার দুর্ভোগ। গজারিয়ার সর্বস্তরের জনতার দাবী, কবে হবে মোচন, জনতার দুর্ভোগ।
আমার প্রানপ্রিয় নেত্রী, অত্যান্ত দুংখের সাথে স্কুলে যেতে হচেছ পিকআপ ভ্যানে, একই পথে কলোজে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। স্কুলে অধ্যায়নরত কোমল মতি শিশু বাচ্চাদের মনে আওয়ামীলীগ দল সম্পর্কে জন্মাচেছ বিরুপ মনোভাব পিকআপ ভ্যানে ঠাসাঠাসি ভাবে বসে স্কুলে যাওয়াতাও রিস্ক মনে করছে অনেক অভিভাবকেরা।
হঠ্যাৎ ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। স্কুল ছুটির শেষে বাসায় ফিরে আসার আগ পর্যন্ত প্রচন্ড মানষিক টেনশনেনে থাকতে হচ্ছে অভিভাবকদের।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গত চার মাসের দুর্ভোগে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।উন্নয়নের সরকার আওয়ামীলীগ দলের প্রতি স্থানীয় জনতার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সকল উন্নয়নের কথা ভুলে গিয়ে সাধারন মানুষের মুখে মুখে একটাই আওয়াজ শোনা যাচ্ছে , মাননীয় সেতু ও যোগমন্ত্রী, স্থানীয় সাংসদ ও দলীয় নেতৃবৃন্দ জনতার দুর্ভোগের সমাধানে অনীহা কেন? পাশাপাশি সাধারন জনতার দাবী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলের মনে হয় গজারিয়াবাসীর ভোটারদের দরকার হবেনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গত রমজানের ঈদে উপজেলা প্রশাসনেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জনতার দুর্ভোগ লাগবের কথা বিবেচনা করে, মেঘনা সেতু হতে দাউদকান্দি সেতু পর্যন্ত দুটো বাস দেয়া হবে, কিন্তু পরবর্তীতে দেয়া হয়নি। অল্প কয়েকদিন পরেই আসছে ঈদুল আযহা। নিসন্দেহে বলা যায় সাধারন মানুষের যাতায়াতের সমস্যা প্রকট আকার ধারন করবে , কি ভাবে দুর হবে গজারিয়ার সাধারন জনতার জন দুর্ভোগ।
মাননীয় নেত্রী, এই সমস্যার সমাধান দ্রুত প্রয়োজন, নয়তো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীরা সাধারন মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাওয়া সম্ভব হবেনা। জনতার এই দুর্ভোগ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের তৃনমুল নেতাকর্মীরা আছে মহাবিপদে,নিজেরা পারছেনা এই সমস্যা সমাধান করতে, পারছেনা দলীয় হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে সমস্যা সমাধান সুরাহ বের করতে।
মাননীয় স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ, জেলা ও থানা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারাও এই বিষয়ে অবগত কিন্তু সমাধানের পথ খুজে পাচেছনা কেউ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , জানিনা আমার এই লেখা আপনার নজরে আসবে কিনা, তবে চেষ্টা করতে বাধাঁ কোথায়? মাননীয় নেত্রী, আপনিই গজারিয়াবাসীর শেষ ভরসা। বিকল্প পরবিহন ব্যবস্থা করে গজারিয়ার জনতার দুর্ভোগ সমাধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে আসবে, এই প্রত্যাশা গজারিয়ার সর্বস্তরের জনতার।