ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ স্বাস্থ্যের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধী খাবার হিসেবে মূল্যায়ন
স্বাস্থ্য বার্তা, ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ সব দেশেই চাষ হয়, ক্যাপসিকামের অন্য নাম বেল পিপার। লাল, সবুজ ও হলুদ বর্ণের এই মিষ্টি মরিচ। আমাদের দেশেও অনেক জনপ্রিয় ক্যাপসিকাম। পুষ্টিগুণের বিচারে ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচের জুড়ি নাই। প্রতি ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে রয়েছে- ৮৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন ৪.৬০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ১.৭০ মিলিগ্রাম স্নেহ, ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ৩৭০ আইইউ ভিটামিন এ। রয়েছে সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, থায়ামিন ও ফলিক এসিড। খণিজ উপাদানের মধ্যে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিংক, কপার ইত্যাদি রয়েছে।
ক্যাপসিকাম দেহে বাড়তি ক্যালরি পূরণে সহায়তা ও উচ্চ চর্বি থেকে স্থূলতা হওয়ার সুযোগ হ্রাস করে। এতে ক্যাপসাইসিনস আছে যা ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধা প্রদান করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ সহ অ্যালকালয়েড সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি দেহে আয়রন শোষণে সহায়তা করে। ভিটামিন এ, সি এবং বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টিশক্তির নানা সমস্যা দূর ও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। লাইকোপেন সমৃদ্ধ হওয়ায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগ দূর ও হজম সমস্যা যেমন-ডিসপেপসিয়া দূর করে।