“কাজ করি আর না করি সেটার জবাব আমি কাওকে দিতে পারবো না, পারলে আমার বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তা লিখতে পারেন”
মহেশপুরে বিদ্যালয় সংস্কারের নামে স্লিপ কর্মসুচির ৪০ হাজার টাকা সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের পকেটে !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ২৬ জুন ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৩৫ নং ভোলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান মিল্টন ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিদুল ইসলাম পরস্পরের যোগসাজসে স্লিপের টাকা নয় ছয় করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ২ মাস আগে বিদ্যালয় সংস্কারের নামে স্লিপ কর্মসুচির ৪০ হাজার টাকা উত্তলোন করে নাম মাত্র ৫/৭ হাজার টাকার কাজ করেছেন। বাকি টাকা তিনি পকেটস্থ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিদুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন সভাপতি কামরুজ্জামান মিল্টন স্লিপের টাকা উত্তোলন করবেন বলে আমার কাছ থেকে একটি সাদা চেকে স্বাক্ষর করে নেয়। টাকা উক্তলোন করে তিনি গত এক মাস আগে নাম মাত্র সামান্য রংয়ের কাজ ও একটি বাঁশের র্যালিং দিয়েছেন। বাদ বাকী টাকার কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা অফিসার শ্রী স্বঞ্জয় ঘোষালকে অবগত করালে তিনি জানান, এ ধরনে খবর আমরা শুনেছি এবং উপজেলা মিটিংয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থান নেব।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান “আমি টাকা তুলেছি তাতে কি হয়েছে ? কাজ করি আর না করি সেটার জবাব আমি কাওকে দিতে পারবো না। পারলে আমার বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তা লিখতে পারেন”।