কবির হাট উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে বিজয় দিবস পালিত
নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোযাখালী কবির হাট উপজেলায় নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মোহাম্মদ সরওযার উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলি, কবির হাট পৌর সভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, কবির হাট থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির, শহীদ মিনারে ও বঙ্গবন্ধু মুরালে, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্প তবক অর্পণ করে শহীদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কবির হাট প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ও বঙ্গবন্ধু মুরালে, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্প তবক অর্পণ করে শহীদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল সাড়ে আটটায় উপজেলা চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বেলুন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ আনসার ভিডিপি, সিভিল ডিফেন্স স্কাউট, গার্লস গাইড, স্কুল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, শিশু কিশোরদের কুচকাওয়াজ প্রদর্শনী শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সকাল এগারটা ত্রিশ মিনিটে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সরওযার উদ্দিনের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলি আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অমৃত দেবনাথ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল আমিন রুমি, কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হুমায়ুন কবির, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, অনুষ্ঠানে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শোষনহীন, বঞ্চনাহীন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, বর্তমানে দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন, মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন, এবং মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন স্মৃতিচারন করেন। ৭৯ জন মৃত ১২০ জন জীবিত মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে সম্মাননা স্মারক ও পুরুস্কার বিতরণ করেন। সন্ধায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।