সৈয়দ শামসুল হক স্মরণে মিলন কান্তি দে’র একক আবৃত্তি সন্ধ্যা

ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা নিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একক আবৃত্তি করলেন যাত্রানট শিল্পী মিলন কান্তি দে। দরাজকন্ঠে দেড় ঘন্টাব্যাপী তার আবৃত্তি সন্ধ্যার পরিবেশনা বিপুল সংখ্যক দর্শক উপভোগ করেন।
আবৃত্তি সন্ধ্যার উদ্বোধনী ভাষণে কথাশিল্পী আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, সৈয়দ হক কবিতায় সমসাময়িক কালের এমন কোন বিষয় নেই যে তার কবিতায় তুলে ধরেননি। সেই পঞ্চাশ,ষাট দশক থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি দেশ, মানুষ,তাদের সংস্কৃতিকে তার কবিতায় এনেছেন। বৈচিত্রধর্মী বিষয় ও কবিতার গঠনে নিজস্ব নির্মাণশৈলীর কারণে তার কবিতা হয়ে উঠেছে বাংলা কবিতার অন্যতম ভান্ডার।
নাট্যজন আতাউর রহমান প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, আমি তার কবিতার একজন বিদগ্ধ পাঠক। তার এগারটি নাটক নির্দেশনা দিয়েছি। বাংলার রুপকে তিনি কবিতা, নাটক, উপন্যাস, গল্পে ও চলচ্চিত্রে উদ্ভাসিত করেছেন। তার সৃষ্টিতে ভাষা ও গঠনশৈলী একান্তই নিজস্ব ঘরানার। সাহিত্য নির্মাণে তার নিজম্ব কৌশল ও প্রকাশের ভারিক্কির জন্য অমর হয়ে থাকবেন। তার সৃষ্টিই তাঁকে আমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় জ্যোতিপ্রকাশ আয়োজিত আবৃত্তি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহসিন হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী ড. ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও বক্তব্য রাখেন প্রকাশক মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলম।
মিলন কান্তি দে পরিবেশনা শুরু করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘অন্তর মম বিকশিত করো’ দিয়ে। এরপর সৈয়দ শামসুল হকের আমার পরিচয়,নুরুল দিনের সারাজীবন(কাব্যনাট’র প্রস্তাবনা),পরানের গহীন ভিতর-১, মুছে ফেলো মিছে অশ্রু তোমার’সহ কবির আটটি কবিতা আবৃত্তি করেন। এ ছাড়াও তিনি আবৃত্তি করেন মাইকেল মধুসূুদন দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, সুকান্ত ভট্ট্রাচার্য, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়,শামসুর রাহমান, নির্মলেন্দু গুণ,পূর্ণেন্দু পত্রী’সহ আরও কয়েকজন কবির কবিতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *