সাতক্ষীরায় নিখোঁজ স্কুলছাত্র ইজিবাইক চালক’র গলিত লাশ উদ্ধার, আটক ১

সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি, হেলাল উদ্দীন, ১০ আগস্ট, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল এলাকার একটি পরিত্যক্ত ইট ভাটার সেফটি ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্র ময়নুর রহমানের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দেবহাটা উপজেলার শ্রীরামপুর থেকে এক জনকে আটক করেছে।

সোমবার বিকালে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ বাঁকাল এলাকার জয়েন্ট ব্রিকস নামক ওই পরিত্যক্ত ইট ভাটার সেফটি ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত ইজিবাইক চালক ময়নুর রহমান (১৬) সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পাঁচরকি গ্রামের সুরত আলীর ছেলে ও মীর্জাপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শেনীর ছাত্র। লেখাপড়ার ফাঁকে সে ইজিবাইক চালাতো।

এদিকে, আটক ব্যক্তির নাম হুমায়ন কবির (৩৬)। সে সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে। নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, ঈদের আগের দিন গত ৩১ জুলাই প্রতিদিনের ন্যায় ময়নুর তার স্কুলের লেখা পড়া শেষ করে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে বড় ভাইয়ের ইজিবাইকটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে সাতক্ষীরা শহরের দিকে আসে।

এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে ইজিবাইক ভাড়ায় চালানোর পর সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় পরদিন পহেলা আগষ্ট (ঈদের দিন) ময়নুরের চাচা আফছার আলী সদর থানায় ময়নুর নিখোঁজের হয়েছে মর্মে একটি জিডি করেন। যার জিডি নং-২০, তারিখ-০১.০৮.২০২০।

এরই সূত্রধরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন ও সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামানে নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল এ ঘটনার ১০ দিন পর আজ সোমবার দুপুরে ইজিবাইক চালক ময়নুর হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে হুমায়ন কবিরকে তার শ্বশুর বাড়ি দেবহাটা উপজেলা শ্রীরামপুর থেকে আটক করেন।

একই সঙ্গে উদ্ধার করেন ময়নুরের ইজিবাইক। এরপর তার দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক শহরের অদূরে বাঁকাল এলাকায় জয়েন্ট ব্রিকস নামক একটি পরিত্যক্ত ইট ভাটার সেফটি ট্যাংক থেকে ময়নুরের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইজিবাইক চালক ময়নুর হত্যায় জড়িত বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *