সাতক্ষীরায় নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে ডাক্তার গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরা জেলা  প্রতিনিধি, হেলাল উদ্দীন, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : সাতক্ষীরা শহরের শিমুল ক্লিনিকের এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে এক নার্সকে সেভেন আপের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। দু’দিন ক্লিনিকে আটকে রেখে ধর্ষণের পর খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এঘটনায় ওই চিকিসকের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষক ডা. রিয়াজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার ঘোনা মাঝেরপাড়া গ্রামের এক কিশোরী ১৫ দিন আগে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল খুলনা রোড এলাকার শিমুল ক্লিনিকে নার্সের চাকরি নেয়। চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই তার উপর নজর পড়ে ওই ক্লিনিকের ডাক্তার রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের। সে প্রায়ই ওই কিশোরীকে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে রিয়াজ কৌশলে কোমলপানীয় সেভেন আপের সাথে তাকে চেতনানাশক পান করায়।

এক পর্যায় ওই কিশোরী অচেতন হয়ে পড়লে কর্মচারী মাহমুদ ও ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ দু’জনে তাকে ক্লিনিকের তিনতলা থেকে তুলে ছাদের উপর নিয়ে যায়। অচেতন অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করে ডাক্তার রিয়াজুল। রাত সাড়ে তিনটার দিকে জ্ঞান ফেরার পর সে বাইরে আসার চেষ্টা করলে তাকে একটি রুমের মধ্যে আটকিয়ে রাখে ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ও তার ছেলে মিঠুন।

ডাক্তার রিয়াজুলের সাথে তাকে বিয়ে দিবে এই প্রলোভন দেখিয়ে বিষয়টি জানাজানি না করার জন্য ধর্ষিতা ওই কিশোরীকে প্রস্তাব দিয়ে দুইদিন ঘরের মধ্যে তাকে আটকে রাখে শহিদুল। তাকে বাইরে কারো সাথে যোগযোগও করতে দেয়নি তারা। এদিকে দু’দিন ধরে ওই কিশোরীর কোন খোঁজ না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি সদর থানায় পুলিশকে জানায়। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সদর থানা পুলিশ শিমুল ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ধর্ষিতা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।

এঘটনায় ধর্ষিতা ওই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে ধর্ষক ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ও তার ছেলে মিঠুনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-৭৭। সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইতোমধ্যে ধর্ষক চিকিৎস্যক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *