শিল্পী, গীতিকার দিনদিন বাড়ছে কিন্তু মানসম্পন্ন গানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে’

ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : সামিনা চৌধুরী। যার কণ্ঠের সাথে পরিচিত এদেশের অগণিত শ্রোতা। গানের সাথে আছেন সবসময়। এবার ঈদে এই গুণী কণ্ঠশিল্পীর কয়েকটি গান প্রকাশ পেয়েছে। এরপর এখন ব্যস্ত আছেন একটি রিয়েলিটি শো-এর বিচারক হিসেবে। পাশাপাশি স্টেজ শো ও নতুন গান নিয়েও চলছে তার ব্যস্ততা। সাম্প্রতিক এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন বিনোদন প্রতিদিনের সাথে।

 

কেমন আছেন?

 

ভালো আছি।

 

ঈদে আপনার বেশ কয়েকটি গান প্রকাশিত হয়েছে। শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?

 

বেশ ভালোই সাড়া পেয়েছি। মানুষকে নিরাশ করার জন্য গান করি না। আমি গানের সংখ্যার চেয়ে গানের মানকে গুরুত্ব দিই এবং মানুষ কেমন গান শুনতে চায় সেটা নির্বাচন করে গান করার চেষ্টা করি।

 

বিটিভির ঈদ আনন্দমেলা অনুষ্ঠানে আপনার একটি গান রুনা লায়লার নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আপনি মামলা করবেনও বলেছিলেন। বিষয়টির কোনো মীমাংসা হয়েছে?

 

বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এবং এটার তো বিচারও হওয়া দরকার। এ অনুষ্ঠানে আমার গাওয়া গান রুনা আপার নামে চালিয়ে দেওয়া হলো! আমি খুব শিগগিরই একটা সিদ্ধান্ত নিয়েই নেবো। ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’ গানটি কে গেয়েছেন সেটা কে না জানে। সেখানে বাংলাদেশ টেলিভিশন কিভাবে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করে! মামলা করার ব্যাপারে আমি কিছুদিনের মধ্যে ফাইনাল সিদ্ধান্ত জানাবো। তবে এইটুকুই বলবো, তারা যদি নিজের দায়িত্বটা ঠিকমতো পালন করতো তাহলে এ রকম পরিস্থিতি কখনোই হতো না।

 

আপনি তো ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’-এর বিচারক। এমন শোগুলো নতুন শিল্পী গড়তে কতটুকু সাহায্য করে?

 

তারা তো মোটামুটি গান শিখেই আসে। রিয়েলিটি শোতে নতুন শিল্পীরা নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পায়। আমরা যারা বিচারক তারাও আনন্দিত হই, এসব প্রতিভাবান শিল্পীদের সঠিক দিন নির্দেশনা দিতে পারায়। তারপরও রিয়েলিটি শোর বিচারক হতে চাই না। যখন দেখি, সম্ভাবনাময় কিছু শিল্পী প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে তখন কষ্ট পাই, কিন্তু প্রতিযোগিতা তো এমনই। যতটুকু পারি প্রতিযোগিদের গাইড করছি, যাতে তারা গান আরও ভালোভাবে শিখতে পারে।

 

ইদানিং প্লে-ব্যাকে আপনাকে কম পাওয়া যাচ্ছে। এর কারণ কী বলবেন?

 

সিনেমার প্রতি বরাবরই আমার একটা ভালোবাসা রয়েছে। সিনেমার গান করতে আমি বেশ ভালোবাসি। তবে ইদানিং কাজ কম করছি। ভালো গান হলেই করছি। মানের বিষয়টি সবসময়ই আমার মাথায় থাকে।

 

নতুন যারা গান করছেন তাদের প্রসঙ্গে কী বলবেন?

 

শিল্পী, গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালকের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। কিন্তু মানসম্পন্ন গানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। গান কেমন হলো সেটা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই, সবাই ভিডিওর দিকেই ঝুঁকছেন। ভালো বাজেটে, ভালো নির্মাতা দিয়ে পরিচিত মডেল দাঁড় করিয়ে ভিডিও নির্মাণ করছেন। গানের চেয়ে এখন মিউজিক ভিডিওর মান নিয়ে শিল্পীরা চিন্তিত।

 

আপনার বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

 

ব্যস্ততা তো গান নিয়েই। স্টেজ শো ও অ্যালবামের ব্যস্ততা রয়েছে। এছাড়া ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’ প্রতিযোগিতার ব্যস্ততা তো আছেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *