রাজারহাটের কিংবদন্তির অচীন গাছ

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি, ইব্রাহিম আলম সবুজ, ১১ এপ্রিল, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : যুগযুগ ধরে রাজারহাটে কিংবদন্তির অচীন গাছ ইতিহাস বহন করে আসছে। এখনো গাছটি দেখার জন্য প্রতিদিন দূরদূরান্তের দর্শনার্থীরা ভিড় করে। উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে এই গাছটির অবস্থানকে কেন্দ্র করে গ্রামের নাম করন হয়েছে অচীন গাছ। গাছের গোড়ায় হিন্দু ধর্মাম্বলীরা বিশেষ দিনে পুঁজা অর্চনা করেন। ২০০ বছর পূর্বে কোন এক রাতে আকস্মিক এই গাছটির আবির্ভাব ঘটেছে বলে গ্রামের লোকদের বিশ্বাস ।

কথিত আছে, ওই গ্রামে মংলু রাম নামের এক যুবক ভারতের কলতাপাড়া নামক স্থানে এক বৃদ্ধা মহিলার বাড়ীতে কাজ করতেন। সেখানে বৃদ্ধার নাতনীর সাথে মংলু রামের বিয়ে হয়। অনেক দিন সেখানে থাকার পর ওই বৃদ্ধা মংলুরামকে স্বস্ত্রীক বাড়িতে আসতে দিতে রাজী হন। এর প্রেক্ষিতে ওই মহিলা তার নাতনী ও মংলু রামকে যোগাযোগের বাহন হিসেবে একটি গাছ উপহার দেন। ওই গাছের ডালে তাদেরকে বেঁধে দিলে গাছটি রাতের আধাঁরে তাদের দু’জনকে মংলুরামের বাড়িতে পৌঁছিয়ে দেয়।

পরের দিন সকালে গ্রামে মংলু রামের উপস্থিতি ও হঠাৎ এই বিশাল আকৃতিক গাছ দেখে হতবাক হয়ে যান এলাকাবাসী। সবার কাছে অপরিচিত হওয়ায় এলাকাবাসী গাছটির নাম দেন অচীনগাছ। পরবর্তীতে গাছের নাম অনুযায়ী গ্রামের নামকরন হয় অচীন গাছ। অন্যদিকে যেখান থেকে এই গাছটি রাতের আধাঁরে হারিয়ে যায়, সেই এলাকার নাম করন হয় হারাগাছ। এলাকার অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, নরেশ, জগদীশ রায় ও নারায়ন চন্দ্র সহ অনেকেই জানেন এমন ইতিহাস।

রাজারহাট উপজেলা প্রশাসন সরকারী অর্থায়নে গাছের চার পার্শ্বে দর্শনার্থীদের বসার জন্য সান বাঁধা আসনের ব্যবস্থা করেছেন। এরআগে কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক নুরুল আমীন অচীন গাছের গোড়া বাঁধাই ও দর্শনার্থীদের সানবাঁধা আসনের ব্যবস্থা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *