মাদারীপুরে করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে রমরমা ব্যবসা

মাদারীপুর প্রতিনিধি, আরিফুর রহমান, ২৪ মার্চ, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : মাদারীপুরের রাজৈরে উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে বন্ধ থাকা সত্যেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে শিক্ষকরা। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে অভিভাবকদের গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এতে হিমসিম খাচ্ছে নিন্ম আয়ের পরিবার গুলো। বিপাকে পড়ে শিক্ষার্থীদের পড়া-শোনাও বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, বেশি টাকা নিচ্ছে না বলে দাবি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানায়, শিক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ রাখা হয়। তারপর থেকে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার ঘোষনা থাকলেও কোন ক্লাস নেয়নি। অটোপাশের জন্য এসাইনমেন্ট পরিক্ষার ঘোষনা দেয়ার পর টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ- দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রীদের কাছ থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ১২’শ টাকা ও ডিসেম্বরে ৬’ষ্ঠ শ্রেনী থেকে ১০’ম শ্রেনীর ছাত্রীদের কাছ থেকে ৫’শ- ১ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। পরে নতুন বছরের টাকা সম্পূর্ণ পরিশোদের কথা বলে জানুয়ারিতে স্কুল ছাত্রীদের ১ হাজার ও কলেজ ছাত্রীদের কাছ থেকে ১২’শ টাকা করে নিয়েছে শিক্ষকরা। এখন আবার এসাইনমেন্ট পরিক্ষা, তিন মাসের বেতন ও রেজিষ্ট্রেশন ফি এর কথা বলে ৬’ষ্ঠ শ্রেনী থেকে ১০’ম শ্রেনীর ছাত্রীদের ৬০০-৬৮০ টাকা করে নিচ্ছে। উপবৃত্তি প্রাপ্তি স্কুল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকা। এবং একাদশ শ্রেনীতে ৮’শ ও দ্বাদশ শ্রেনীতে ৯৫০ টাকা করে ধরেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে উপজেলার খালিয়া রাজা রাম ইনস্টিটিউশন স্কুলে শিক্ষার্থী প্রতি নেয়া হচ্ছে ১ হাজার টাকা। এরআগে জানুয়ারিতে ৫’শ টাকা করে নিয়েছিলো বলে জানা গেছে। তারা আরো জানায়, করোনার কারনে আমাদের পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ রয়েছে। তার উপরে কয়েক মাস পর পর যদি এত টাকা স্কুলে দেয়া লাগে, তাহলে হয়তো পড়া-লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মোকলেসুর রহমান বলেন, এটা টিউশন ফি। সরকার পরিপত্র দিয়েছে। জানুয়ারিতে ২০২০ সালের টাকা নেয়া হয়েছিলো।

এ ব্যাপারে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক বলেন, প্রতি বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাকা বেশি নেয়ার বিষয় আমাদেরকে জানায়। এবছর কিছু জানায় নাই, তাই আমরা চুপ করে বসে আছি। নিয়মগুলো আমার সঠিক জানা নেই। তবে যে টাকা নিচ্ছে তা বেশি নিচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *