মাদক সম্রাট হাসান এবার ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, মোঃ আবদুল মান্নান, ০৭ আগস্ট, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামের মোঃ হাসান চিহ্নিত একজন মাদক সম্রাট। সম্প্রতি ১০ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ তাকে পুলিশ আটক করেছে। সে ওই গ্রামের ছিদ্দিক মিয়া ও আসমা বেগমের পুত্র। ইতোপূর্বে হাসান মাদক ও অস্ত্র মামলায় সাজা ভোগ শেষে জেল থেকে বের হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে মাদক, চুরি, ডাকাতি ও মারামারির ঘটনায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাঁকে আটক করায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সচেতন মহল।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে উজিরপুর গ্রামের হাসান ও তাঁর ভাই হানিফ মিয়া এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছিল। তাদের কারণে এলাকার উঠতি বয়সের যুবকরা মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। হাসানের রয়েছে মাদকের বিশাল নেটওয়ার্ক। তাঁর নেতৃত্বে যুবকরা মিয়াবাজার, সদর দক্ষিণ ও কুমিল্লা, লাকসাম ও চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক পাচার করতো।

ইতোপূর্বে হাসান কয়েকবার মাদকসহ গ্রেফতার হলেও কয়েকমাস পর জামিনে বেরিয়ে আসে এবং মাদক ব্যবসা শুরু করে। দুইটি মামলায় সাজাভোগ শেষে বেরিয়ে এসে সে এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে মে মাসে চুরির দায়ে স্থানীয় শালিশের মাধ্যমে তাকে বেত্রাঘাত ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কয়েকদিন পর তাকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ধাওয়া করা হয়।

তাঁর ভাই হানিফ মিয়া তাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির আবুল কালাম, তাঁর স্ত্রী ও পুত্রকে মারধর করে। এনিয়ে গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু হানিফ মিয়ার পরিবার বিচার না মেনে উল্টো আপন জেঠা ও জেঠাতো ভাইকে মারধর করে। এ ঘটনায় শালিশ বৈঠকে হানিফ মিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে গালমন্দ করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসান মাদকের সাথে জড়িত। আর অন্য সকল খারাপ সকল কাজের সাথে জড়িত রয়েছে তাঁর ভাই হানিফ মিয়া। তাদেরকে প্রশ্রয় দেয় পিতা ও মাতা। এক কথায়-তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। এদিকে এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে হাসানকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা করেছে ধর্ষিতার মা।

উজিরপুর সমাজ কল্যাণ সংঘের সভাপতি আবুল হাশেম বলেন, ‘হাসান মাদকের সাথে জড়িত। কয়েক দিন আগে ৯ কেজি গাঁজাসহ প্রশাসন তাকে আটক করেছে’।

মাস্টার মাসুদ বলেন, ‘হাসান মাদকের সাথে জড়িত। তাকে পরিবারের সদস্যরাই এ কাজে সহযোগীতা করে বলে অভিযোগ উঠেছে’।

গ্রাম্য সর্দার ডাঃ আলী আশ্রাফ বলেন, ‘হাসান ও হানিফ মিয়ার কারণে গ্রামে বখাটে যুবকের সংখ্যা বেড়েছে। অভিভাবকদের উচিত-সন্তানের ব্যাপারে সজাগ থাকা। না হলে ওই দুই যুবকের মত খারাপ হয়ে এলাকার ‘দুর্নাম’ করবে’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *