মাছ বাজার ভাংচুরের প্রতিবাদে সাঘাটা ইউএনও অফিস ঘেড়াও

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, একরামুল হক, ৩০ মে, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ফরমালিনমুক্ত মাছ বোনারপাড়া বাজারের গতকাল শুক্রবার (২৯ মে) মধ্যরাতে একটি সেড ঘরের ১৮ টি দোকান ভেঙ্গে ফেলে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ টি  হাতুড়ী ২ টি শাবল উদ্ধার করে। এর প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে  অনিদ্দিষ্ট কালের জন্য মাছ বিক্রি বন্ধ করে  সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ঘেড়াও করে মানববন্ধন কর্মাসুচি পালন করেছে জেলে সম্প্রদায়ের  শতাধিক নারী-পুরুষ।

মানববন্ধনে সাঘাটা উপজেলা মৎসজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক রামলাল চন্দ্র দাস জানান, বোনারপাড়া হাট-ইজারাদার আমাদের কাছ থেকে টাকা চেয়েছেন। টাকা না দেয়ার কারনে গতরাতে পরিকল্পনা করে আমাদের পজেশনের দোকানগুলো ভেঙ্গে দেয়। আমরা এই সুষ্ট তদন্ত করে বিচার চাই।

সাঘাটা উপজেলা মৎসজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শচীন চন্দ্র জানান, আমরা মৎসজীবি এই করোনা ভাইরাসে অনেক কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করছি। আমাদের রিজিকে হাত দিয়ে আমাদের দোকান ভেঙ্গে দেয়ার জন্য বিচার চাই এবং আমাদের প্রতি সদয় হয়ে সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

সাঘাটা উপজেলা মৎসজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মংলা চন্দ্র জানান, আমরা সরকারী টোল বা খাজনা প্রতিদিন  ২৫  টাকা দেই। সরকারী নিওম মতে খাজনা অনেক কম । আমাদের কোন খাজনার রশিদ না দিয়ে বেশী বেশী খাজনা নিয়েও আমাদের দোকানে হামলা করা হয়েছে এর বিচার চাই।

সাঘাটা উপজেলা মৎসজীবি সমিতির সভাপতি সুবাস চন্দ্র দাস বালুয়া জানান, যতক্ষন পর্যন্ত এই  দোকান ভাঙ্চুরের বিচার না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই উপজেলার প্রান কেন্দ্র বোনারপাড়ায় মাছ বিক্রি বন্ধ থাকবে।

নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে হাট ইজারাদার মো: ফয়জার রহমান জানান, মাছ হাট ভাঙ্গার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

বোনারপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এনায়েত কবির জানান, মাছ ব্যবসায়ীদের খবরের ভিত্তিতে ঘটনা স্থল থেকে ৩ টি হাতুড়ী, ২ টি শাবল উদ্ধার করা হয়েছে তবে এ ঘটনায় কেউ এখনো কোন অভিযোগ করেনি।

বিষয়টি নিয়ে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মাছ ব্যবস্যায়ীদের এই সমস্যা সমাধানে বোনারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা  প্রকৌশলী মিলে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান  করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *