বেগমগঞ্জের একলাশপুরে সন্ত্রাসী হামলায় দোকান ভেঙ্গে তছনছ

নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূৎফুল হায়দার চৌধুরী, ১৭ নভেম্বর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়খালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা জমি দখলের উদ্দেশ্যে একটি দোকান ঘর ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে। সোমবার গভীর রাতে একলাশপুর ইউনিয়নের ভিআইপ সড়কের রিকশা স্টান্ডে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীরা দোকান মালিক সিরাজ মিয়াকে (৫৫) বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও এর আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার থানায় মামলা হয়েছে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, একলাশপুর ইউনিয়নের ভিআইপ সড়কের রিকশা স্টান্ড এলাকার সিরাজ মিয়ার সাথে একই এলাকার আবদুল ওহাবের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জেরে সোমবার গভীর রাতে আবদুল ওহাবের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী সিরাজ মিয়ার বাড়ির পাশে তার একটি দোকান ঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। সন্ত্রাসীরা হাতবোমা বিষ্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পুরো এলাকায় আতংক সৃস্টি করে।

এ সময় আবদুল ওহাবকে ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে সন্ত্রাসীরা দোকান ঘরের চালা, বেড়া ও খুঁটি সবকিছু ভেঙ্গে তছনছ করে আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে চলে যায়। বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামন শিকদার জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ব্যপারে দোকানের মামলিক সিরাজ মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

আরও খবরঃ-

**বিএনপি অপরাজনীতি থেকে না ফিরলে, তাদের রাজনীতির অপমৃত্যু ঘটবে-ওবায়দুল কাদের**

নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূৎফুল হায়দার চৌধুরী, ১৭ নভেম্বর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একটি দল একের পর এক ব্যর্থ হয়ে জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে। তারা আবারও আগুন সন্ত্রাসের পথ বেঁচে নিয়েছে। তারা আবার বলে তারা নাকি আগুন সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নয়। দেশের মানুষ জানে ২০১৩-১৪ সালের আগুন সন্ত্রাসের কথা। তারা অস্বীকার করলেও জনগণ ভুলে যায়নি। এখনও সময় আছে। বিএনপি অপরাজনীতি থেকে ফিরে না এলে, আগুনের লেলিহান শিখায় তাদের রাজনীতির অপমৃত্যু ঘটবে বলে দেশের জনগণ মনে করে।

শান্তি স্বস্তি নষ্ট করে,ভয়ের স্থিতিশীলতা তৈরী করতে, তারা গুজবের, অপপ্রচারের আর আগুন সন্ত্রাসের, পথ বেঁচে নিয়েছে। সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় নোয়াখালীর কবিরহাট বাজারের জিরো পয়েন্টে উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত তিন নেতার স্বরণে আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, জন বিরোধী, রাষ্ট্র বিরোধী এসব কর্মকান্ডের অর্থ পৃষ্টের সন্ধান আমরা করছি। যারা এসব অপকর্মে, দেশ বিরোধী কর্মকান্ডের, আগুন সন্ত্রাসের ফান্ডিং করছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে। জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পদ ও কারো জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবেনা। নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোটের দিন এজেন্ট পর্যন্ত দিতে পারে না। অথচ নির্বাচন হয়ে গেলে প্রতিবাদ করে। আজ নাকি সারা দেশে প্রতিবাদ। এসব যখন করে তাদের লজ্জা থাকা উচিত।

কবিরহাট উপজেলা আ’লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমির সভাপতিত্বে স্বরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আ’লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আলম সেলিম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ,কে,এম সামছুদ্দিন জেহান, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান প্রমূখ।

**বেগমগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মারধর, আটক-১**

নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূৎফুল হায়দার চৌধুরী, ১৭ নভেম্বর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমান উল্যাহ পুর ইউনিয়নে চাঁদার দাবিতে যুবলীগের নেতা কর্মিদের মারধরের শিকার এক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছে। পরে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় জেলা শহর মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিন (৩০) ওই ইউনিয়নের আইয়ূব পুর গ্রামের পন্ডিত বাড়ীর লকিয়ত উল্যার ছেলে এবং স্থানীয় আমান উল্যাপুরের শ্যামবাড়ী দরজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

তাৎক্ষণিক, পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত ১ জনকে আটক করেছে। আটককৃত, রায়হান (২৮) একই ইউনিয়নের অভিরামপুরের মোরশেদ আলমের ছেলে। সোমবার রাতে উপজেলার আমান উল্যাহ পুর ইউনিয়নে একেজি হাই স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান শিকদার জানান, এঘটনায় ব্যবসায়ীর স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। পুলিশ রায়হান নামে একজনকে আটক করেছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। আটক আসামিকে মামলার আলোকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবলীগের স্থানীয় নেতা জুয়েল,বাবু ও রায়হান ওই ব্যবসায়ীর নিকট চাঁদা দাবি করে আসছিল। কফিল উদ্দিন চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে ওই ব্যবসায়ী বাজার থেকে বাড়ী যাওয়ার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মি তাকে মটর সাইকেল যোগে অপহরণ করে স্যারের সাঁকু নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। এসময় তার মোবাইল ফোন ও টাকা নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে।

খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় কফিল উদ্দিনকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।স্থানীয়রা আরো জানান, স্থানীয় যুবলীগের জুয়েল,বাবু ও রায়হানের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই সহ নানা অপকর্মে জড়িত তারা। সরকারী দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার আশ্রয়-প্রশয়ে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *