বগুড়ায় মহাসড়কে সিএনজি ধরলেই পুলিশকে এক’শ

বগুড়া প্রতিনিধি, নজরুল ইসলাম , ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম  নিউজ ২৪) : বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধে মড়িয়া হয়ে উঠেছে কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশ। অন্যদিকে, বগুড়ার শাজাহানপুর থানা পুলিশ অভিযানের নামে ওত পেতে সিএনজি ধরে এক’শ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টের রায়, বাস মালিকদের দাবি এবং সরকারের সিদ্ধান্ত- এই তিন মিলে দেশের মহাসড়ক গুলোতে কম গতির তিন চাকার গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর থেকেই মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধে হাইওয়ে পুলিশ থ্রি হুইলার বন্ধে মড়িয়া হয়ে ওঠে। আগের দিনেরমত এখন আর থ্রি হুইলার চোখে পড়েনা বললেই বলে। চলতি জানুয়ারি মাসে ১৭দিনে দেড় শতাধিক যানবাহনে মামলা দায়ের করেছে হাইওয়ে পুলিশ। প্রতিদিনই বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে অভিযান চালাচ্ছে কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশ।

পাশাপাশি নন্দীগ্রাম থানা পুলিশও থেমে নেই। ১৭দিনে ৪৮টি যানবাহনে মামলা দায়ের করেছে থানা পুলিশ। থ্রি হুইলার- সিএনজি, ইজিবাইক, নসিমন-করিমনসহ দুই শতাধিক যানবাহনে মামলা দায়ের করায় মহাসড়কের থ্রি হুইলার চালকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সিএনজি চালক ও যাত্রীদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে শুক্রবার দুপুরে শাজাহানপুর উপজেলার টেংরামাগুর ও বীরগ্রাম বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, এই দুটি বাজারে অর্ধশত সিএনজি যাত্রী তুলছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একধিক চালক জানান, সিঙ্গেল সড়ক দিয়ে ফুলতলা পৌছাঁতে অনেক সময় লেগে যায়। মহাসড়কে সিএনজি চালকদের একটাই আতঙ্ক রেখেছে ‘কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশ’। তবে হাইওয়ে পুলিশ যখন থাকেনা, তখন সুযোগ পেয়ে মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলে। পথিমথ্যে টেংরামাগুরের বধ্যভূমি এলাকায় মহাসড়কে ওত পেতে থাকে শাজাহানপুর থানা পুলিশ। চালকেরা অভিযোগ করে বলেন, শাজাহানপুর থানা পুলিশ সিএনজি আটক করে প্রথমেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তবে এক’শ টাকা দিলে মহাসড়কে চলাচলের সুযোগ করে দেয়। কিন্তু কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের হাত-পা ধরে লাভ নেই, ধরছে আর মামলা দিচ্ছে। মামলা আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছে থ্রি হুইলার চালকেরা।

এই প্রসঙ্গে শাজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, থ্রি হুইলার আটক করে টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সুস্পষ্ট প্রমান পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেই হোক, থ্রি হুইলার মহাসড়কে উঠবেনা। কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ কাজল কুমার নন্দী জানান, ১৭দিনে ১৫৫টি যানবাহনে মামলা দায়ের হয়েছে। মহাসড়কে থ্রি হুইলার নয়। থ্রি হুইলার চলাচলের জন্য সিঙ্গেল সড়ক রয়েছে। মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল করতে দেয়া হবেনা।

নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নসিমন-করিমনসহ ১৭দিনে ৪৮টি যানবাহনে মামলা দায়ের হয়েছে। ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন যানবাহন ধরতে চেকপোস্ট বসানো হয়। এগুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করার পাশাপাশি অবৈধ যানবাহনের মালিক ও চালকদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *