ফরিদগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা, ঘরে ঘরেই জ্বরে আক্রান্ত!

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি, কামরুজ্জামান, ২৯ জুলাই, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : বাড়ছে করোনা বাইরাসের ভয়াবহতা, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, সংক্রমনের তালিকায় প্রতিদিনই জোগ হচ্ছে জ্যামিতিক হারে। প্রতিবছরে যেভাবে একটা নির্দিষ্ট সময়ে মানুষ ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হতো, এবারও তার ব্যতিক্রম নয় বরং এবারে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশী।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতি বাড়ীতেই মৌসুমী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জ্বরে কাতরাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ডাক্তার কামরুল বলেন, এতে ভয়ের কিছু নেই। এ ধরনের জ্বরে প্রতিবিছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে মানুষ আক্রান্ত হয়।

যেহেতু কভিড-১৯ এর অস্তিত্ব দির্ঘ সময় ধরে বিদ্যমান এবং এর ভায়াবহতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাই ২/৩ দিনের বেশী জ্বর থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পারামর্শ নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। সাধারনতই জ্বরের রোগীদের আমরা করোনা টেষ্ট দিয়ে থাকি। রেজাল্টের ভিত্তিতে চিকিৎসা করানো হয়। ৭ থেকে ৮ জন করোনা রোগী বরাবরই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকে।

উপজেলায় একটি সরকারী হাসপাতাল ব্যতীত পাঁচটি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নিতে মানুষের যথেষ্ট ভীড়, জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংংখ্যাও কিন্তু লক্ষনীয়। পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ১৫টি আইসোলেশন ওয়ার্ড আছে।

অক্রিজেন সিরিন্ডারের ব্যবস্থা থাকলেও নেই কোন ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা। আইসিইউ বা সিসিইউ’র তো প্রশ্নই উঠে না। করোনায় আক্রান্ত কোন রোগী সনাক্ত হলে তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে অথবা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরন করা হচ্ছে।

বেসরকারী হাসপাতালের বা ক্লিনিকের মধ্যে ফরিদগঞ্জ ডায়বেটিস হাসপাতালেই একমাত্র করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা বা চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকী হাসপাতাল গুলিতে বেশীর ভাগই প্রসূতিদের সেবা প্রদান করা হয়। করোনা ভয়াবহতার কারনে অন্যান্য রোগীদের সেবাও ব্যহত হচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসন হতে প্রতিদিনই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়, স্বাস্থবিধি অমান্যকারী ও সরকারী আদেশ অমান্যকারীদের নিয়ম মেনে জরিমানা করা হয়। কিন্তু তা উপেক্ষা করে ও আদেশ অমান্য করে রাস্তায় চলছে রিক্সা, সিএনজি, অটোরিক্সা, ভ্যান, ছোট পিকাআপ ও মটরসাইকেল।

ছোট ছোট দোকানগুলি না খুললেও বাজারের প্রতিষ্ঠিত রড-সিমেন্ট, টিন, রং ও হার্ডওযার কিছু কিছু কাপড়, টাইল্সের দোকান অসদুপায়ে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে। জরিমানা দেয়ার পর দম্ভ করে বলে প্রতিদিন লাভ ২০ হাজার হলে ৫ হাজার জরিমানা দিতে আপত্তি নেই। অধিকাংশই মাস্ক ব্যবহার করে না।

এ ব্যপারে নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলি হরি বলেন, মানুষ নিজ থেকে সচেতন না হলে জরিমানা বা জেল দিয়ে মহামারি রোধ সম্ভব না, তা ছাড়া মানবিক কারনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগও সম্বব হয় না। মহামারি রোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে, স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে, সকলের সহযোগিতা থাকলেই আমরা দ্রুত এ সমস্যা থেকে রেহাই পাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *