নীলফামারী ৫০ হাজারে ধর্ষণের আপোষ করলেন স্বামী

নীলফামারী প্রতিনিধি, মো. শাইখুল ইসলাম সাগর, ১৬ আগস্ট ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নীলফামারীতে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে নিজের স্ত্রী ধর্ষণের আপোষ করলেন স্বামী। টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা আপোষ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের মাঝপাড়ায়।

জানা যায়, ঐ এলাকার মৃত মোনসাই আলীর ছেলে ধর্ষক হাসিবুর রহমান একই এলাকার রিয়াজের (ছদ্মনাম) স্ত্রীর শামিমা বেগমের (ছদ্মনাম) গোপন ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শামিমা কে ধর্ষণ করে আসছে। ঘটনার এক পর্যায়ে গত ৯ আগস্ট রাত ১১টায় এলাকাবাসী হাসিবুর রহমান হাতে নাতে ধরার চেষ্টা করলে হাসিবুর রহমান পালিয়ে যায়।

এসময় শামিমার ঘর থেকে হাসিবুরের পড়নের শার্ট, মোবাইল, মেমোরি ও সিম উদ্ধার করে। সেই সাথে হাসিবুরের অটো আটক করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় শামিমা বেগমের বিচার চাইলেও ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের বিষয়টি ধর্ষকের সাথে আপোষ করে নেয় শামিমার স্বামী।

টাকার বিনিময়ে ধর্ষণ আপোষ করায় এলাকাবাসীর মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, টাকার বিনিময়ে যদি এরকম জলজ্যান্ত ধর্ষণের বিষয় ধামাচাপা দেওয়া হয় তাহলে ধর্ষকরা তো পার পেয়ে যাবে। আমাদের এলাকারও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমরা চাই ধর্ষকের শাস্তি হোক সেই সাথে টাকার বিনিময়ে যে আপোষ করেছে তারও শাস্তি হোক।

টাকা দিয়ে আপোষ করার বিষয়টি এড়িয়ে ধর্ষিতা শামীমা বেগম বলেন, হাসিবুর মোবাইলে আমার গোপন ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে ধর্ষিতার স্বামীর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে আপোষ করার কথা স্বীকার করে।

এ বিষয়ে গোড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসী ধর্ষিতার ঘর থেকে হাসিবুরের পড়নের শার্ট, মোবাইল, মেমোরি ও সিম উদ্ধার করে। হাসিবুর পালিয়ে গেলে তাঁর অটো আটক করে আমার নিকট হস্তান্তর করে এবং আমার কাছে এগুলো এখনো রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষিতার পরিবার থেকে আমার কাছে আপোষ করার জন্য আসলে বলি ধর্ষণ মামলা আপোষ করার এখতিয়ার আমাদের নাই আপনারা থানায় অভিযোগ দেন। এরপর থেকে তারা আর আমার সাথে যোগাযোগ করে নি। শুনেছি তারা টাকার বিনিময়ে আপোষ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *