নীলফামারী সন্ত্রাসী বাহিনীর আঘাতে সাংবাদিক আহত

নীলফামারী প্রতিনিধি, মোঃ শাইখুল ইসলাম সাগর, ২৪ এপ্রিল, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নীলফামারীর ডিমলায় জমি জবরদখল ও দোকান লুটপাটের পায়তার করেছে সন্ত্রাসী উত্তম গ্রুপের প্রায় ৬০-৭০ জন বাহিনী। জমি উদ্ধার করতে গিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে মার খেয়ে গুরুতর আহত হয়ে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির আহবায়ক সাংবাদিক মোঃ বাদশা সেকেন্দার ভুট্টো সহ তার পুরো পরিবার। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উপজেলার দক্ষিণ তিতপাড়া মেডিকেল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

ডিমলা থানায় দায়ের করা এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, দক্ষিণ তিতপাড়া এলাকার (জেএল নং-২৮) দাগ নং- ১৩৫ এর হাল ৪০৪ মেডিকেল মোড়ের ৮১.৫ শতক জমির মধ্যে ৫২.৫ শতক জমিতে বাবার নামীয় ক্রয়সূত্রে বাদশা সেকেন্দার ভুট্টোর দোকান, গোডাউন আছে। বাদশা সেকেন্দার ভুট্টোর ভোগদখলীয় জমির ভূয়া মালিক সেজে শ্রী কমল রায়, পিতা-মৃত কলতা রায়, শ্রী গোবিন্দ রায়, পিতা- শ্রী কমল রায় ও মোছাঃ ছফুরা বেওয়ার, স্বামী-মৃত জামিয়ার রহমান উস্কানী ও কুপরামর্শে আরো প্রায় ৬০-৭০ জন বাহিনী নিয়ে তাদের পেশী শক্তির ব্যবহার করে জবরদখল করার সুযোগ নিয়ে জমির বাঁশ কাটা শুরু করে।

পাশে দোকানে থাকা বাদশা সেকেন্দার ভুট্টোর ভাই মোঃ ফয়সাল আহমেদ, ভগ্নিপতি মমিনুর রহমান ও মাসুদ রানা তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের অন্যায় আচরণের কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে ভুট্টোর ভাই সহ বাকি দুজন দোকানে ফিরে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন তাদের ঔষধের দোকানে প্রবেশ করে দোকানের মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে এবং দোকানের ক্যাশ থেকে প্রায় পঁচাশি হাজার টাকা লুট করে।

ঠিক ওই মূহুর্তে বাদশা সেকেন্দার ভুট্টো ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এলোপাথারী মারপিটের পর গুরুতর জখম করে বাহিনীর সদস্যরা এবং তার প্যান্টের ডান পকেটে থাকা স্থাপনা নির্মাণের উদ্দ্যেশে আনা নগদ প্রায় এক লক্ষ পঁচানব্বই হাজার টাকা লুট হয়। তারপর সাংবাদিককে বাঁচাতে তার পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাথারী মারপিট করে গুরুতর জখম করে। মার খেয়ে সাংবাদিক দম্পতি সহ পরিবারের ছয় জন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এবং সাংবাদিক ভুট্টুর অবস্থা বেগতিক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও আতিকুজ্জামান আতিক বলেন, চোখ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকায় এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চোখের ডাক্তার না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সাংবাদিককে রংপুর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

জানতে চাইলে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এজাহার পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *