নরসিংদী মনোহরদীর একদুয়ারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান, সালিশ দরবারের নামে চাঁদাবাজী করছে, সাধারণ মানুষের জীবন দূবির্সহ হয়ে উঠেছে

নরসিংদী প্রতিনিধি, কে.এইচ.নজরুল ইসলাম, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম  নিউজ ২৪) : নরসিংদীর জেলার মনোহরদী উপজেলার এক দুয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি: মো: আনিসুজ্জামান মিটুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কাজে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দলীয় ও অর্থের প্রভাব খাটিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় অনিয়মের রাজত্ব কায়েম করেছেন মিটুল চেয়ারম্যান। সালিশ দরবারে চাঁদাবাজীর কারণে সাধারণ মানুষের জীবন দূবির্সহ হয়ে উঠেছে।

এলাকাবাসী জানায়, গ্রামের সাধারন মানুষের আশ্রয়স্থল স্থানীয় সালিশ দরবার, আর সেই সালিশ দরবারে টাকা ছাড়া বসতে চায় না চেয়ারম্যান। আর এই যদি হয় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কার কাছে যাবে কার কাছে পাবে বিচার। জানা যায় একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের যে কোন সালিশ দরবারের জন্য নোটিশ করলে দরবারের ১/২দিন আগে চেয়ারম্যানের দালাল নামে এলাকায় সুপরিচত ভূয়া জাল দলিল লেখক সাজা ভোগকারী মোকারম হোসেনসহ আরও তিনজন এলাকা ভিত্তিক অলিখিত ভাবে নিয়োজিত আছে।

বাদী ও বিবাদীর সালিশ দরবারের রায় পক্ষে আনার জন্য বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিভিন্ন পরিমানের টাকা দাবী করা হয়, পরে দাম কষা কষির মাধ্যমে একটা পরিমানে রাজি  থাকলে দরবারের আগে দাবীকৃত টাকার আংশিক পরিশোধ করতে হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের একদুয়ারিয়া গ্রামের আফসার উদ্দিন মৃধার ছেলে মানিক মৃধা ও রেনুজার বেগমের মাধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় ইউপি সদস্য এলাকার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দরবার করিয়া মিমাংশা করিয়া দেন।

বিবাদী রেনুজা বেগম সালিশের লিখিত আপোষ মিমাংশা অমান্য করায়, জোড় পূর্বক জমিতে চারা গাছ ও বেড়া দিয়ে চলাচলের প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করে। পরে মনোহরদী থানায় মানিক মৃধা একটি অভিযোগ দায়ের করলে থানা থেকে চেয়ারম্যান বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করে দিবে বলে থানা পুলিশ চেয়ারম্যানের কাছে পাঠায় দেন। পরে পরিষদ থেকে দরবারের জন্য নোটিশ করার পর দরবারের দুই দিন আগে ভূয়া জাল দলিল লেখক সাজাভোগকারী  মোকারম হোসেন মানিক মৃধাকে হাতিরদিয়া বাজারে নিয়ে গিয়ে চেয়ারম্যানের কথা বলে ৬০ হাজার টাকা দাবী করে।

পরে দর কষা কষি করার পর ২৫ হাজারে রাজি হয়। এ বিষয়টি সাংবাদিকরা জানতে পারায় মোকারম অস্বাীকার করে। অন্য দিকে একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বগাদী গ্রামের মৃত মহব্বত আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন জানান, তার প্রবাসী শ্যালিকার  বাড়ী করার জন্য জমি ক্রয় করে সিমানা প্রাচীর করতে থাকলে চেয়ারম্যানের চৌকিদার নির্মাণ কাজে বাধাঁ দেয় যে, ফসলী জমিতে বাড়ী করতে চেয়ারম্যান পরিষদের অনুমোতি লাগবে।

পরে স্থানীয় এক নেতার মাধ্যেমে ৩৫ হাজার টাকায় সনদ বিহীন অনুমোতি দেওয়া হয়েছে। এব্যপারে একদুয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  ইঞ্জি: মো: আনিসুজ্জামান মিটুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন এসব জানার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন সাংবাদিকরা সমাজ নষ্টকারী চাঁদাবাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *