নন্দীগ্রাম-শেরপুর নতুন সড়কে ধস, ফের ভোগান্তি

বগুড়া প্রতিনিধি, এম নজরুল ইসলাম, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : রাস্তা উদ্বোধনের একবছর পর ফের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাহবাহনের চালক ও যাত্রীরা। বগুড়ার নন্দীগ্রাম-শেরপুর সড়কের প্রায় ১০ফুট এলাকাজুড়ে তিন ফুট দেবে গেছে। পুকুরে ধসে পড়ছে রাস্তা। সেদিকে দেখার কেউ নেই। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, পুকুরধারে রাস্তার প্যালাসাইটিং নির্মাণ ও সংস্কার কাজে অনেক সময় প্রয়োজন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, খানাখন্দে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি নতুনভাবে নির্মাণ করে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ উদ্বোধন করা হয়। একবছর যেতে না যেতই নন্দীগ্রাম-শেরপুর সড়কের দোহার বাজার এলাকায় পুকুরে মাটি ধসে পড়াসহ দেবে গেছে। ফলে প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচলে যানজট ও ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। সড়কের দেবে যাওয়া স্থানে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যেই চরম ঝুঁকি নিয়ে লাইন ধরে ধীরে ধীরে চলাচল করছে যানবাহন।

উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নিখিল চন্দ্র সরকার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম ও ইডিসির পরিচালক রবিউল করিম জানান, নন্দীগ্রাম-শেরপুর সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়কের সাথে রাজধানী ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ রয়েছে। একবছর আগে সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে, তবে কেন এই দুর্ভোগ। নবনির্মিত সড়কের দোহার বাজার এলাকায় বড় আকারের ধস হয়েছে।

সড়কটি দিয়ে বাস, ট্রাক, পিকআপ, সিএনজিসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। ব্যস্ততম এই সড়কে এখন যানবাহন চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সড়কটির বেশির ভাগ অংশের দুই পাশে মাটি নেই। ধসে পড়া সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে আবারো পূর্বের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হবে। দীর্ঘদিন ধরে এই জনপদের হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ-দুর্দশা ভোগ করে আসছিলেন। অনেক প্রতিক্ষার পর সড়কটি নতুনভাবে নির্মাণ হলেও আবারো সেই ভোগান্তি। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের দেবে যাওয়া স্থানে এবং খানাখন্দে পানি জমে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠতে পারে।

দোহার ও ভদ্রদীঘি চারমাথার বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, রাস্তার মাঝপথে ফাটল, গর্তসহ মাটি দেবে গেছে। বিষয়টি সওজ বিভাগকে একাধিকবার মুঠোফোনে জানানো হয়েছে। এ সড়কটি নাটোর ও রাজশাহী জেলার সঙ্গে কম সময়ে ও খরচে সহজে যোগাযোগের একমাত্র পথ। বিকল্প পথে বগুড়া ঘুরে প্রায় ৫০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পাড়ি দিতে হয়। প্রতিদিন এই সড়কে বিভিন্ন ধরনের কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। প্রায় একমাস হলো সড়কটি ভেঙে দেবে গেছে। দেখারমত কেউ নেই।

এপ্রসঙ্গে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আলিম বলেন, বিষয়টি জানার পর সড়কের ভাঙা ও দেবে যাওয়া স্থানটি পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাঙাস্থানে সংস্কার ও পুকুরধারে প্যালাসাইটিং নির্মাণ করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *