ঝিনাইদহ সুইট সুপার হোটেলে বিক্রি হচ্ছে বাসি-পঁচা খাবার, নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে ইফতার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ২৯ মে, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪): ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে অবস্থিত সুইট সুপার হোটেলে বিক্রি হচ্ছে বাসি ও পচা খাবার। এছাড়াও নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে ইফতার। হোটেলের সামনে খোলা পরিবেশে রাখা হয়েছে ইফতার তৈরীর সামগ্রী। সেখানে বসছে মাছি। এতে করে এই হোটেলের খাবার খেয়ে যেমন মানুষ পেটের পীড়াসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, অন্য দিকে বহুদিন যাবত ভ্রামমাণ আদালতের তদারকি না থাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ওই হোটেলের মালিক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সুইট সুপার হোটেলে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। হোটেলটির বাইরের অংশ ফিটফাট হলেও ভিতরে সদর ঘাট অথ্যাৎ ভেতরে যেখানে খাবার তৈরি করা হয় সেখানে অত্যান্ত নোংরা ও আবর্জনাময়। ভেজাল মিষ্টি তৈরিতে এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে স্যাকারিন আর ক্ষতিকারক রং। এমনকি মিষ্টি তৈরি প্রধান উপকরণ ছানাও তৈরি হচ্ছে ভেজাল প্রক্রিয়ায়। এছাড়াও ৪/৫ দিনের পোড়া তেল দিয়ে ভাজা হচ্ছে সিঙ্গারা, পেয়াজীসহ নানা প্রকার খাবার। এসব খাবার আবার অনেক সময় সুযোগ বুঝে পচা-বাসী অবস্থায় বিক্রি করছে তারা।

সোমবার বিকেলে হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, খাবার মাছি পড়ছে। ওই হোটেলের খাবার খেয়ে অসুস্থ আজিজ হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, সোমবার বিকেলে হোটেল থেকে পচা মুড়ি ঘন্ট দিয়ে ভাত খান। ওই সময় মুড়ি ঘন্ট পচে গেছে বললে তা পাল্টে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এ ব্যাপারে হোটেল মালিক রেজাউল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘খাবারে মাছি পড়েছে এ দায়ভার পৌরসভার। পৌর কর্তৃপক্ষ মাছি নিধনে ব্যবস্থা নেই নি। তাই খাবারে মাছি পড়ছে। খাবার কত সময় ঢেকে রাখা যায়, প্রশ্ন তার।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেক্টর শংকর নন্দী বলেন, পৌর এলাকার যেসব হোটেলে বাসি-পচা খাবার বিক্রি করা হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পৌরসভার উপর দায় চাপানোর কোন সুযোগ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *