চলছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। এই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথমবারের মতো বড় কোনো নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ ও স্বতন্ত্র থেকে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে মূল লড়াই হবে বড় দুই দলের প্রার্থীদের মধ্যেই। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ১০৪ জন ও ৪০ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন ভোটার আজ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মোট ১০৩টি ভোটকেন্দ্রের ৬২৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

সকাল আটটায় মেঘ মাথায় নিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট শুরুর পর থেকেই ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ভোট দেয়ার জন্য সকাল থেকেই প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। বিশেষ করে অন্যান্য ভোটে নারী ভোটারদের দেরিতে আসতে দেখা গেলেও কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের শুরুতেই নারীদের উপস্থিতি দেখার মতো।

অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে ইসি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এর মাধ্যমে তারা রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন করতে চায়।

নির্বাচনে রিটানিং অফিসার রকিবউদ্দিন মন্ডল জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

এই সিটিতে দলীয় প্রতীকে এটি প্রথম নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে টানা ১৪ দিনের প্রচারণা শেষ হয়েছে। প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা ও সদ্য সাবেক মেয়র বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুসহ অন্য মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিরল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে এ পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায় এলাকার ভোটাররা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী।

আজকের ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে এটিই প্রথম বড় কোন নির্বাচন হওয়ায় যে কোন মূল্যে সুষ্ঠু ভোটের সর্বোচ্চ আশ্বাসও দিয়েছে কমিশন।

নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ২২ জনের ফোর্স এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জনের ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে নিয়োজিত রয়েছে ২৭ টি মোবাইল টিম ও ৯টি স্ট্রাইকিং টিম।

নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে র‌্যাবের ২৭টি টিম ও ২৬ প্লাটুন বিজিবিও ইতিমধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনের ভিত্তিতে আরো ফোর্স মোতায়েন করতে পারবে স্থানীয় প্রশাসন।

২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সম্পূর্ণ ভোটগ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে সম্পন্ন হয়েছিল। এবার ইভিএম ব্যবহার করছে না নির্বাচন কমিশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *