গাইবান্ধার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় এজাহার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, একরামুল হক, ১৮ জুন, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ব্লাকমেইল করে ধর্ষণ অতপর ৩ মাসের অন্তঃসত্তা হয়। অসহায় পরিবার গ্রামের মাতবরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পাওয়ায় অবশেষে থানায় অভিযোগ দায়ের।

জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের শালমারা (পাছপাড়া) গ্রামের হতদরিদ্র লাল মিয়ার কন্যা শালমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী প্রতি দিনের ন্যায় বাড়ী থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করে। এতে একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মহিমাগঞ্জ রাজনৈতিক থানা শাখার যুগ্ন আহবায়ক আহসান হাবীব আকুল (২৫) এর কু-নজর পড়ে ওই স্কুল পড়ুয়া মেয়েটির উপর।

বিভিন্ন সময় রাস্তায় তাকে উত্তক্ত সহ কু-প্রস্তাব দিয়া ভয়ভীতি দেখাইতো। মেয়েটি লম্পট আকুলের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রায় ৪ মাস পূর্বে স্কুলে যাওয়ার পথে আকুল মিয়ার মাছের হ্যাচারীর নিকট পৌছিলে আকুল মিয়া একই গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে রুবেল মিয়া (২৪) ও নাবুল মিয়ার ছেলে নাদেন (১৮) এর সহযোগিতায় রাস্তা থেকে টানাহেচড়া করিয়া হ্যাচারীর ঘরে নিয়ে যায় এবং সেখানে ধর্ষন করে এবং ওই ছাত্রীকে নগ্ন করে লম্পট আকুল মোবাইলে তার ছবির ভিডিও ধারন করে।

অন্তঃসত্তা ওই ছাত্রী জানান, এরপর থেকে আকুল মিয়া যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এতে সে রাজি না হওয়ায় তার এসব নগ্ন ভিডিও র কথা বলে  ব্লাকমেইল করে ও ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ওইসব ভিডিও ধারন করার ১ সপ্তাহপর  গত ১ লা মার্চ/২০ সকাল ৯ টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই হ্যাচারীর মধ্যে ডেকে নিয়ে যেয়ে ধারণকৃত ভিডিও ডিলেট করার কথা বলে তাকে আবারো জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আকুল মিয়া। ওই ভিডিওকে জিম্মি করে আকুল মিয়া একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে। এতে সে অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে পরিবারের কাছে সব ঘটনা খুলে বলেন।

ওই ছাত্রীর অন্তঃসত্তা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকর্মি সহকারী কোহিনুর বেগম।

অন্তঃসত্তা ওই ছাত্রীর পরিবারের সাথে কথা বললে তার বড় বোন জানান, সংসারে অভাব অনাটনের কারণে পিতা লাল মিয়া ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। তার বোনের এই সর্বনাশ করার বিচার চেয়ে গ্রামের মাতবরদের দ্বারে দ্বারে ঘুড়েছি। আকুল মিয়ার পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী তাই এর বিচার করার সাহস কেউ পায় না। এ ঘটনায় আকুল মিয়ার পরিবার থেকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আমার বোনের এ ঘটনার বিচার চেয়ে ফুফাতো ভাই সাইফুল ইসলামকে বাদী করে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই আলা উদ্দিন ঘটনার স্থল পরিদর্শণ করেছেন এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *