মাদারীপুর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা ; দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

মাদারীপুর প্রতিনিধি, আরিাফুর রহমান, ০৪ জানুয়ারী, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : মাদারীপুরে ২য় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদ- প্রদান করেছে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার বেলা ১২টার দিকে বিচারক মোসাম্মৎ দিলরুবা সুলতানা এ রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন সদর উপজেলার শ্রীনদী কোর্টবাড়ি গ্রামের নুরু মোল্লার ছেলে মো. মাহমুদুল হাসান ওরফে মধু মোল্লা (২৪) এবং জালাল মোল্লার ছেলে মো. মিলন মোল্লা (২২)।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর মাদারীপুর সদর উপজেলার শ্রীনদী কোর্টবাড়ি এলাকার গাউস নপ্তির মেয়ে ও কোর্টবাড়ি শ্রীনদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাবেয়া আক্তার ওরফে রিয়া (০৮) কোচিং ক্লাস শেষে বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে আসামী মাহমুদুল হক মধু ও মিলন মোল্লা পাশের একটি জংগলে নিয়ে রিয়াকে ধর্ষণ ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। ঘটনার পরেরদিন রিয়ার বাবা বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সদর থানার এস.আই ফায়েকুজ্জামান তদন্ত করে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী ওই দুই আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘদিন শুনানী শেষে এবং সাক্ষ্য প্রামাণের ভিত্তিতে রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

শিশু রিয়ার মা তাসলিমা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে ওই দুই আসামি ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। দুই জনের ফাঁসির রায় হয়েছে আমরা রায়ে সন্তুষ্টু। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মোছলেম আলী আকন জানান, চাঞ্চল্যকর মামলাটিতে অজ্ঞাতনামা আসামী করে নিহত রিয়ার পিতা গাউস নপ্তি ২০১২ সালের ২৮ নভেম্বর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে ঘটনার সাথে জড়িত মাহমুদুল হক মধু (২২) এবং মো. মিলন মোল্লা তথ্য বের হয় এবং পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে। মামলার ৮ বছর পরে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসাম্মৎ দিলরুবা সুলতানা আজ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অভিযুক্ত দুই আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মামলার দুই আসামীকেই ফাঁসির দঁড়িতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যু কার্যকর এবং প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *