মাদারীপুরে জনকল্যাণে ১২ লক্ষ টাকার চাল দিলেন: নান্নু মাতুব্বর

মাদারীপুর প্রতিনিধি, আরিফুর রহমান, ১৯ এপ্রিল, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : সারাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে, খাদ্য ও সচেতনতাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে সারাদেশে। বর্তমানে এই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার আছে, যারা ঘর থেকে বের হয়ে কারো কাছে হাত পেতে চাইতেও পারেনা এবং কিছু বলতেও পারছে না, অসহায় জীবন জাপন করছেন, যার কারনে এই দুঃসময়ে তারা পড়েছে চরম বিপাকে। এই সময় বিত্তদের পাশে হাত বাড়িয়ে দিলেন মাদারীপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা সামসুল আলম নান্নু মাতুব্বার।

নীরবে-নিভৃতে এই ব্যতিক্রমী কাজটি করে যাচ্ছেন প্রায় ২সপ্তাহ ধরে। (ইনসেটে) কিনে রাখা এই চাল, ত্রাণ নয় এবং প্রচারের জন্য নয়, এটা উপহার মাত্র। তাই ছবি তোলাও নিষেধ, এমনকি পরিচয় ও গোপন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন এই জেলা পরিষদের সদস্য সামসুল আলম নান্নু মাতুব্বর । তিনি ০১৭১২৮৫৪৯৬৫ নম্বর মোবাইলে ফোন দিলেই বাড়িতে পৌঁছে দিতেন ২৫ কেজির করে ১ বস্তা চাল।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঘরবন্দি কর্মহীন অসহায় নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবার যারা তাদের কষ্টের কথা কারো কাছে বলতে পারছেন না, কারো কাছে সাহায্যের হাতও বাড়াতে পারেন না। অথচ পরিবার পরিজন নিয়ে ঘরবন্দি জীবনে দারুণ কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। তাদের ফোন পেলেই পিকআপ বা মোটরসাইকেলে একদল কর্মী বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে ২৫ কেজির ১ বস্তা করে চাল। রাত কিংবা দিন শহরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন তার কর্মীরা।

সামসুল আলম নান্নু মাতুব্বর বলেন, আমি জেলা পরিষদের একজন নির্বাচিত সদস্য। এ পর্যন্ত জেলা পরিষদ থেকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা করে ৩৯ মাসের সম্মানী পেয়েছি ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। প্রথম থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল এই সম্মানীর টাকা আমি নিজে খরচ না করে, জনকল্যাণে কাজে বিলিয়ে দিব। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় সামাজিকভাবে সহযোগিতা করেছি ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বাকী ৬ লাখ টাকার সঙ্গে আমি ব্যক্তিগত আরও ২ লাখ টাকা দিয়ে ২০ টন চাল কিনেছি। সেই চাল মধ্য বিত্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, এটা ত্রাণ নয় এবং প্রচারের জন্যও নয়। এটা আমার পক্ষ থেকে উপহার। তাই যাদের এই চাল দেয়া হচ্ছে তাদের ছবি তোলা নিষেধ এবং পরিচয়ও গোপন রাখা হচ্ছে। ০১৭১২৮৫৪৯৬৫ নম্বর মোবাইলে ফোন করা মাত্র আমার কর্মীরা পৌঁছে দিচ্ছে তাদের বাড়িতে। ইচ্ছে আছে আরও ২ লাখ টাকার চাল কিনে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *