মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ফারুকের অবৈধ জমি ও ক্লিনিক ব্যবসার তদন্ত ও শাস্তির দাবি এলাকাবাসির

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ০৩ জুলাই, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব হলেও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ফারুক আহমেদ ব্যক্তিগত ক্লিনিক ব্যবসা ও ভুমি দখল-বানিজ্য নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ’ম্যানেজ করে’ বছরের পর বছর সে সরকারি দায়িত্ব ফাকি দিয়ে এধরণের কর্মকান্ড চালিযে যাচ্ছে।

মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ফারুক আহমেদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের পাশেই সালেহা ক্লিনিক পরিচালনা করছেন দীর্ঘ্যদিন যাবত। অভিযোগ রয়েছে, সে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের রোগিদের বিভিন্ন ভাবে ভাগিয়ে নিয়ে নিজ ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে থাকে।

অথচ তার এই ক্লিনিকটিতে সরকারি বিধি অনুযায়ি নিয়মিত ডাক্তার, অজ্ঞান বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষিত নার্স নেই। নেই সুসজ্জিত অপারেশন থিয়েটারসহ আনুসঙ্গিক অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। সরকারি আইন উপেক্ষা করে ফারুক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ’ম্যানেজ করে’ এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

এছাড়া এলাকাবাসি জানান, ফারুক আহামেদ অল্পদামে ঝামেলাপূর্ণ জমি কিনে থাকে। এরপর সে পোষ্য বাহিনী নিয়ে সেসব জমি দখল করে এবং প্রকৃত মালিকদের বিভিন্ন ভয়ভিতি দেখিয়ে চড়া মূল্যে সেসব জমি বিক্রি করে। বর্তমান সে একই ভাবে ১০৯ মহেশপুর মৌজার এসএ ২৫৯, ২৬০, ২৪০; ২৪৪; ২৬০,২৬১, ২৬২; ২৪১ যথাক্রমে হাল (আরএস) ৭৩৫, ৭৩০, ৭১১, ৭৩৪ দাগের জমির উপর ঢালাই স্থায়ী প্লার নির্মন করে অবৈধ ভাবে ঘর নির্মান করছে।

উক্ত জমির প্রকৃত মালিকরা জানন, ইতিপূর্বে ফারুক একাধিক বার এরুপ বেআইনী কাজ করার চেষ্টা করে। এবিষয়ে পৌরসভার মাধ্যমে ফারুকসহ সংশ্লিষ্ট সকল জমির মালিকের উপস্থিতিতে উক্ত জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়। উক্ত মাপের প্রতিবেদনে মহেশপুর পৌর কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেন-উল্লেখিত দাগ সমুহে ফারুক আহমেদ বা তার পিতা জিল্লুর রহমানের বাস্তবে কোন জমি নাই।

মহেশপুর পৌর কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে এবং নিয়ম মাফিক প্লান পাশ না করে ফারুক উক্ত জমি জবর দখল করে ঘর নির্মান করছে। সরকারি জনগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ফাকি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ফারুক এভাবেই ক্লিনিক ও জমির অবৈধ ব্যবসা করে আসছে। তার কর্মস্থল মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে তেমন একটা দেখা মেলেনা। অফিস ফাঁকি দিয়ে এসব নিয়েই ব্যস্ত সে।

এলাকাবাসি এসব বিষয় তদন্ত করে ফারুকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে ফারুর আহমেদের নিকট জানতে চেলে সে সব অভিযোগ মিথ্য ও ভিন্তিহিন বলে দাবি করে। ঝিনাইদহের সিভল সার্জন ডা. রাশেদার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *